সর্বোচ্চ ‘ডাক’ মারার যৌথ রেকর্ডে ভারত

৪ জানুয়ারি ২০২৪

সর্বোচ্চ ‘ডাক’ মারার যৌথ রেকর্ডে ভারত

টেস্ট ক্রিকেটকে বলা হয় ধৈর্যের খেলা। যেখানে একজন ব্যাটার ও বোলারকে দিতে হয় মানসিকতার চূড়ান্ত পরীক্ষা। কিন্তু কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে যা হয়েছে তা রীতিমত কল্পনাতীত। ম্যাচের প্রথম দিনই পতন হয়েছে ২৩ উইকেটের! এছাড়াও প্রথম দিনে ম্যাচে আরও এমন কিছু ঘটেছে যা সচরাচর টেস্ট ক্রিকেটে দেখা যায় না।

কেপ টাউনের একই মাঠে ২০১১ সালেও একদিনে এতো উইকেটের পতন দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ২৩ উইকেটের পতন হয়। অস্ট্রেলিয়ার ২৮৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা অল-আউট হয় ৯৬ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারনন ফিলেন্ডারের পেস তোপে মাত্র ৪৭ রানেই গুঁটিয়ে যায় অজিরা।

ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে এর আগে ম্যাচের প্রথম দিন এতো বেশি উইকেট পড়েছিল আজ থেকে ১২২ বছর আগে। ১৯০২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ম্যাচে ২৫ উইকেটের পতন হয়েছিল। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১২২ রানে অজিরা অল-আউট হওয়ার পর ইংলিশরা অল-আউট হয় মাত্র ৬১ রানে। তবে একদিনে সর্বোচ্চ উইকেট পতনের সংখ্যা আরও বেশি। ১৮৮৮ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ২৭ উইকেটের পতন হয়।

অন্যদিকে, বুধবার প্রথমবারের মতো দলীয় সংগ্রহে কোনো রান যোগ না করেই ৬ উইকেট হারানোর ঘটনার সাক্ষী হয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। ৪ উইকেটে ১৫৩ রানে থাকা ভারত তাদের শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ১১ বলে! এর আগে সবচেয়ে কম ২৭ বলে ৬ উইকেট হারানোর ঘটনা ঘটেছিল চারবার। তাছাড়া এই ম্যাচে গত ৭০ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচের প্রথম দিনই তৃতীয় ইনিংসের খেলা মাঠে গড়ায়। এর আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার লর্ডস টেস্টে এই ঘটনা ঘটেছিল।

এছাড়াও কেপ টাউন টেস্টে এক ইনিংসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ডাক মারার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে ৬ ব্যাটার কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন। এর আগে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ জনের ডাক মারার ঘটনা আছে সাতটি। তার মাঝে একটি ভারতের। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার টেস্টেও এই লজ্জাজনক কাণ্ড ঘটান ভারতীয় ব্যাটাররা।

মন্তব্য করুন: