ব্রাজিলকে গত মৌসুমের রিয়ালের মতো খেলাতে চান আনচেলত্তি

ব্রাজিলকে গত মৌসুমের রিয়ালের মতো খেলাতে চান আনচেলত্তি

কার্লো আনচেলত্তির দুই মেয়াদে ভালো সময় কাটিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তার অধীনে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার পাশাপাশি দুবার লা লিগার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল দলটি। এবার ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইতালিয়ান এই কোচ জানিয়েছেন, পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তিনি ২০২৩-২৪ মৌসুমের রিয়ালের মতো খেলাতে চান।

২০২৪-২৫ মৌসুমে রিয়ালের সঙ্গে হতাশাজনক সময় কাটানোর পর চলতি মাসের শুরুতে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব পান আনচেলত্তি। গত ২৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৬৫ বছর বয়সী এই কোচ।

স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনচেলত্তি বলেন, “আমার ব্রাজিল খেলবে রিয়াল মাদ্রিদের মতো, তবে এই বছরের মতো না, বরং গত বছরের মতো। আমি এটাই চাই।

চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্সেনালের কাছে বাজেভাবে হেরে বিদায় নেয় রিয়াল। বার্সেলোনার সঙ্গে চারবারের দেখায় প্রতিবারই হেরেছে তারা। স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দেল রে ও লা লিগার শিরোপাও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হারায় আনচেলত্তির দল। অবশ্য ২০২৪ সালে পাঁচটি ট্রফি জেতে দলটি।

স্প্যানিশ ক্লাবটি থেকে তার বিদায় প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেন, “ফল প্রত্যাশিত ছিল না। দলের পারফরম্যান্সও ভালো ছিল না। এটা ঘটারই ছিল।

২০০২ সালের পর আর কোনো বিশ্বকাপ জেতেনি ব্রাজিল। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের পারফরম্যান্সেও পিছিয়ে পড়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে প্রথমবারের মতো কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া আনচেলত্তি দলকে ষষ্ঠ শিরোপা জেতানোর ব্যাপারে আশাবাদী।

এটা বিশ্বের সেরা জাতীয় দল। এটা শুধু আমার মত না, তাদের জার্সির পাঁচটি তারকাই তার প্রমাণ। কোনো জাতীয় দলই ওদের সঙ্গে তুলনীয় নয়। এখন আমার সামনে ছয় নম্বরটা জয়ের চ্যালেঞ্জ। ব্রাজিলে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ আনার চ্যালেঞ্জ নিতে আমি পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে এটা করতে হলে পুরো দেশকে আমাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বিশ্বকাপ ক্লাবের যে কোনো ট্রফির চেয়ে আলাদা। আমি এখানে এসেছি ব্রাজিলকে আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানাতে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা পারব।

ব্রাজিল দলে আনচেলত্তি কাজ করবেন তার রিয়ালের কয়েক শিষ্যের সঙ্গে, যাদের মধ্যে আছেন ভিনিসিুস জুনিয়র। ক্লাবের হয়ে দারুণ পারফর্ম করা এই ফরোয়ার্ড জাতীয় দলের জার্সিতে ২০১৯ সাল থেকে ৩৯ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৬ গোল। তবে তার পারফরম্যান্স নিয়ে আশাবাদী আনচেলত্তি।

সে অসাধারণ, পরিশ্রমী, লড়াকু – এই ধরনের খেলোয়াড় খুব কমই আছে। ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের প্রতি ভালোবাসা অনেক বেশি, যা তার স্বাভাবিক চিন্তাভাবনায় প্রভাব ফেলে। সে অনেক সময় অতিরিক্ত চাপে পড়ে যায় এবং ভুল করার সুযোগটাও হারায়। তবে আমি নিশ্চিত যে, জাতীয় দলে সে তার সর্বোচ্চটা দিবে। সে বিশ্বের সেরাদের একজন। তার সেরা সময়টা আসছে।

মন্তব্য করুন: