ফিনিশিংয়ের অভাবে সিঙ্গাপুরের কাছে হারল বাংলাদেশ

ফিনিশিংয়ের অভাবে সিঙ্গাপুরের কাছে হারল বাংলাদেশ

ফিনিশিংয়ের অভাবে সিঙ্গাপুরের কাছে হারল বাংলাদেশ

 

প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ফাহামিদুল-রাকিবরা। এরপর বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বিরতির পর সমতায় ফেরার চেষ্টায় আরেকটি গোল হজম করে তারা। তবে রাকিব হাসানের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত ফিনিশিংয়ের অভাবে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের।

মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।

গোলরক্ষক মিতুল মারমা ও ডিফেন্ডারদের ভুলে দুই অর্ধে গোল দুটি হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষের বক্সে ধীর গতি আর ক্রস ও থ্রু বলগুলো ঠিকমতো আয়ত্বে আনতে না পারার জন্য গোলের আরও সুযোগ তৈরিতেও ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। এরপরও পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় হাভিয়ের কাবরেরার দল।

এই জয়ে ‘সি গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। অন্যদিকে ১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশ। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছে হংকং। ভারত আছে চার নম্বরে। গ্রুপের শীর্ষ দল ২০২৭ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেবে।

শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরের ওপর চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টায় থাকা স্বাগতিকরা ফিনিশিংয়ের অভাবে তেমন কোনো ভীতি ছড়াতে পারেনি।

৩০তম মিনিটে বক্সের মধ্যে দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মিতুল। এর খানিকবাদে গোলের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশেরও। কিন্তু অভিষিক্ত শমিত সোমের বাড়ানো বলে ছোঁয়া লাগাতে ব্যর্থ হন রাকিব হোসেন।

৩২তম মিনিটে বক্সের বাইরে ফাহামিদুলকে ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর শটে নিলে বল পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।

মাঝমাঠ থেকে শমিত ৩৮তম মিনিটে উঁচু করে বল দেন বক্সের কাছে ফাঁকা দাঁড়িয়ে থাকা ফাহামিদুলকে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তার শট প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার।

বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। লং থ্রো ইন পাঞ্চ করে ঠেকাতে গোলপোস্ট ছেড়ে এগিয়ে যান মিতুল। কিন্তু ভালোভাবে বল বিপদমুক্ত করতে না পারায় তা চলে যায় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে। সেখান থেকে পাওয়া বল জালে জড়ান সং উই ইয়ং।

বিরতির পর সমতায় ফেরার চেষ্টায় থাকা বাংলাদেশ উল্টো ৫৮তম মিনিটে আরেকটি গোল হজম করে বসে। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট ঠেকান মিতুল। কিন্তু ফিরতি বল সোজা চলে যায় বক্সের ভেতর থাকা ইখসান ফান্দির পায়ে। কাছ থেকে নেওয়া শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচে ফিরতে মরিয়া স্বাগতিকরা ৬৭তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে গোলরক্ষকের ভুলে।  হামজার বাড়ানো বল বক্সের মাথা থেকে গোলের জন্য শট নেন রাকিব। বল ধরতে বেশ এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের হাত ফসকে তা জালে জড়ায়।

সমতায় ফেরার লক্ষ্যে আক্রমণে আরও ধার বাড়ায় স্বাগতিকরা। একেরপর এক কর্নার পেলেও সেগুলো থেকে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে কর্নার ইমনের হেড পোস্টে লাগলে শেষ সুযোগটাও হারায় বাংলাদেশ।

বাছাইপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামী ৯ অক্টোবর ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে হামজা-শমিতরা।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: