তানজিদের একার লড়াইয়ে বাংলাদেশের ১৫১

টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়া এড়ানোর ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া জ্বলে উঠতে পারল না কেউই। বাঁহাতি এই ওপেনারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৫২ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বলে ১৫১ রানে অলআউট হয় লিটন দাসের দল।

শেষ ৫ ওভারে ৪২ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন রোমারিও শেফার্ড।

দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিতে একাই লড়াই চালান তানজিদ। দুটি জীবন পাওয়া এই ওপেনার ছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। তবে তার ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ বলের ইনিংসটি থামে ৮৯ রান। এছাড়া দলের হয়ে দুই অঙ্কের দেখা পান কেবল সাইফ হাসান। চার নম্বরে নেমে ফেরেন ২২ বলে ২৩ রান করে।

আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দিলেও বেশি দূর যেতে পারেনি উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা পারভেজ হোসেন ইমনের (৯) বিদায়ে ভাঙে ২২ রানের জুটিটি। বেশিক্ষণ টেকেননি লিটন দাসও। ক্যারি পিয়ারের করা প্রথম ওভারেই ডিপ মিডউইকেটে ৯ বলে ৬ রান করে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এরপর দলের হাল ধরতে তানজিদকে সহায়তা করেন সাইফ। ৩৬ বলে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার দলের খাতায় যোগ করেন ৬৩ রান। সাইফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে পাঁচ নম্বরে নেমে ৩ রান করে ফেরেন রিশাদ হোসেন। পরের ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহানকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের প্রথম উইকেটটি নেন শেফার্ড।

নাসুম আহমেদও (১) ফেরেন দ্রুত। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে খেলেও আট নম্বরে নামা জাকের আলী সাজঘরের পথ দেখেন ৩ বলে ৫ রান করে। শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার জন্য তানজিদের দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু শেফার্ডের করা প্রথম বলেই মিড-অফে হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলে শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শেফার্ড। ডানহাতি এই পেসারের শিকার ৩ উইকেট।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]