মাত্র একজন কৃষ্ণাঙ্গ? বিতর্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দল

বর্ণবাদবিরোধী মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দল নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কের বিষয়বস্তু হলো- প্রোটিয়াদের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে ‘কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান’ ক্রিকেটার মাত্র একজন। তিনি প্রোটিয়া পেস আক্রমণের নেতা কাগিসো রাবাদা। আরেক ‘কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান’ পেসার লুঙ্গি এনগিডি আছেন রিজার্ভ দলে। এটাকে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি অবিচার হিসেবে দেখছেন দেশটির নাগরিকদের একাংশ।

একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) একটা নিয়ম মেনে চলে। সেটা হলো- দলে ছয়জন মিশ্রবর্ণের ক্রিকেটার থাকবেন, যার মধ্যে দুজনকে হতে হবে কৃষ্ণাঙ্গ। বাকি পাঁচ ক্রিকেটার হবেন শ্বেতাঙ্গ। সেই হিসেবে প্রোটিয়া বিশ্বকাপ দলে মিশ্রবর্ণের ছয় ক্রিকেটার হলেন - কাগিসো রাবাদা, রিজা হেনড্রিকস, বিয়র্ন ফোরটুইন, কেশব মহারাজ, তাব্রেইজ শামসি, ওটনিল বার্টম্যান। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান হিসেবে একমাত্র রাবাদাই আছেন। এতেই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের।

আইসিসি এবং ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রধান রে মালি এই বিশ্বকাপ দল নিয়ে এসএবিসি স্পোর্টকে বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমাদের অনেক কিছুই অর্জন হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আমরা পেছনের দিকে হাঁটছি। সামনে যাওয়ার বদলে আমরা পেছনের দিকে গিয়েছি। আমি বুঝতে পারছি না এই সময়ে কেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে বেশিসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় নেই? এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ফিকিলে এমবালুলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে বিশ্বকাপ দল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে মাত্র একজন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান ক্রিকেটার নির্বাচিত করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই এটা আমাদের অর্জনের বিরোধী এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সকল স্তরের জনগনের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করছে না।”

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচ রব ওয়াল্টার দায় দিয়েছেন জাতীয় দলের পাইপলাইনকে। তিনি সামনের দিনগুলোতে এই সমস্যা সমাধানের কথাও বলেছেন, “আমাদের সিস্টেমটা আগে সত্যিকারার্থেই উন্নত করতে হবে ৬ মাস, ১২ মাস বা দুই বছরের মধ্যে। যেন আগামী ২০২৭ (ওয়ানডে) বিশ্বকাপের আগেই আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি এবং আমাদের দলে যাতে সকল স্তরের জনগনের প্রতিনিধিত্ব থাকে।”