টসের ১০ মিনিট আগে বিমান থেকে নেমে লাহোরকে শিরোপা জেতান রাজা

এমনিতে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা ছিল না সিকান্দার রাজার। জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করতে শনিবারও ছিলেন নটিংহ্যামে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের টেস্টটি একদিন আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় লাহোর কালান্দার্সের হয়ে শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামার কিছুটা আশা তৈরি হয় রাজার। সেই সুযোগ নিয়ে টস হওয়ার ১০ মিনিট আগে বিমান থেকে নেমে ম্যাচ খেলে দলকে শিরোপা জিতিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

রোববার রাতে লাহোরে পিএসএলের দশম আসরের ফাইনালে রাজার নৈপুণ্যে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা জেতে লাহোর।

কোয়েটার দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে লাহোরের দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম তিন বলে কুশল পেরেরা ও রাজা মিলে তুলতে পারেন ৫ রান। এরপর চতুর্থ বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান রাজা। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৭ বলের ইনিংসে দুটি করে চার ও ছক্কায় ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ২২ রানে।

টসের ১০ মিনিট আগে বিমান থেকে লাহোরে নামায় সাকিব আল হাসানের বদলে তাকে দলে নেয় লাহোর। ৪ ওভার বোলিং করে ৪৩ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট। অন্যদিকে এদিন তুলনামূলক খরুচে বোলিং করা রিশাদ হোসেন ৪২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।

এর আগে শনিবার বিকেলে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন ৬০ রানের ইনিংস খেলেন রাজা। ম্যাচ শেষে তার ২৪ ঘণ্টার ভ্রমণ গল্প শোনান জিম্বাবুয়ের এই তারকা।

“আমি জানি, দল আমাকে এখানে সত্যিই চাচ্ছিল। আমাদের স্বত্বাধিকারীরা ও অধিনায়ক গত ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টায় যা যা করেছেন, সত্যি বলতে, এটা অবিশ্বাস্য।”

“গতকালের আগের দিন ২৫ ওভার বোলিং করেছি (নটিংহ্যাম টেস্টে), কালকে ২০ ওভার ব্যাটিং করেছি। ডিনার করেছি বার্মিংহ্যামে, ব্রেকফাস্ট দুবাইয়ে, গাড়িতে করে আবু ধাবিতে পৌঁছে লাঞ্চ করেছি, বিমানে উঠেছি, এরপর আবার ডিনার লাহোরে। একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জীবন এরকমই এবং আমি সত্যিই আপ্লুত ও ধন্য এই জীবনটা পেয়ে।”

“ফ্লাইট বিমানবন্দর ছুঁয়েছে ৬টা ৫০ মিনিটে (টস ছিল সাতটায়)। সামিন ভাই (লাহোর কালান্দার্সের স্বত্বাধিকারী) ও শাহিন (দলের অধিনায়ক) যখন জানতে পেরেছে, আমি বিমানবন্দরে পৌঁছেছি, তখন আমাকে একাদশে রেখেছে। ড্রেসিং রুমে এসেছি ৭টা ২০ মিনিটে (খেলা শুরু সাড়ে সাতটায়)। … এই ফাইনাল খেলার পছনের গল্প তাই অবিশ্বাস্য, যা আমি অনেক দিন মনে রাখব।”