জাতীয় দলের জন্য সাকিবের দরজার খোলা: বিসিবি পরিচালক

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রায় ছয় মাস পর মাঠের ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ থাকলেও দুই মাস আগে সেটি থেকেও মুক্তি মেলেছে বাঁহাতি এই স্পিনারের। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক পরিচালক জানিয়েছেন, জাতীয় দলে ফেরার জন্য সাকিবের দরজা খোলা আছে।

সোমবার বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “সাকিব সব সময় নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় থাকবে। সে যেকোনো দলের জন্য সম্পদ। একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। সে তার বোলিং অ্যাকশন শুধরে ফিরেছে, তাই টিম ম্যানেজমেন্ট তার দিকে নজর রাখবে। নিশ্চয়ই সাকিবের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শেষ হয়নি। নিষেধাজ্ঞার পর মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে সাকিব। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলুক, তারপরই বলা যাবে, সে জাতীয় দলে ফিরবে কি না।”

গত বছর অক্টোবর থেকে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাকিব। ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খেলেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচের আগে টি-টুয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার।

সেই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দলেও ছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে শেষ পর্যন্ত আর দেশে ফিরতে পারেননি ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা। তখন থেকে একপ্রকার নির্বাসনেই আছেন তিনি।

এরই মাঝে সাকিবের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে আসে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়ারদের সন্দেহের বিষয়টি। বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিষিদ্ধ করায় সব ধরনের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বোলিং নিষিদ্ধ করা হয় সাকিবের।

পরবর্তী চেন্নাইয়ে অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হতে না পারায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা হয়নি সাকিবের। শেষ পর্যন্ত গত মার্চে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় তাকে আবারও বোলিং করার অনুমতি দেওয়া হয়।

দীর্ঘ বিরতির পর গত ১৮ মে পিএসএল দিয়ে মাঠে ফেরেন সাকিব। চ্যাম্পিয়ন লাহোরের হয়ে খেলেন তিন ম্যাচে। ব্যাট হাতে কোনো রান করতে না পারলেও বল হাতে ১ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।

আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে দুটি টেস্টের পাশাপাশি তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে শান্ত-লিটনরা।