বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বেন না ফারুক
২৯ মে ২০২৫

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে দায়িত্ব না চালিয়ে যাওয়ার বার্তা পেয়েছেন ফারুক আহমেদ। তবে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
বুধবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ফারুক। সেখানেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়।
বৃহস্পতিবার ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে ফারুক বলেন, “(ক্রীড়া) উপদেষ্টা আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি, কিন্তু বলেছেন তারা চায় না আমি কাজ চালিয়ে যাই। কিন্তু আমি পদত্যাগ করব না, কারণ আমি নির্বাচিত বোর্ড সভাপতি।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাকে এবং নাজমূল আবেদীন ফাহিমকে বোর্ডে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার পর বিসিবি পরিচালকরা ২১ আগস্ট ফারুককে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন।
তবে এই দায়িত্বে ফারুকের পথচলাটা খুব একটা মসৃণ হয়নি। দায়িত্বের প্রথম দিনই পাকিস্তানে চলমান টেস্ট সিরিজের মাঝেই বাংলাদেশের তখনকার প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অপসারণের হুমকি দেন তিনি। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে হাথুরুসিংহেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তার অবস্থান ছিল সমালোচনার মুখে। এছাড়া ক্রীড়া উপদেষ্টার সচিবের সঙ্গে তার বিরোধ খবরের হেডলাইন হয়েছে। এছাড়াও বোর্ড পরিচালক ফাহিমের সঙ্গে ফারুকের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অন্যদিকে এখনও বিসিবির পরিচালক প্রতিনিধি হিসেবে কারোর নাম ঘোষণা করেনি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবে ক্রিকইনফোর মতে, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পরবর্তী বোর্ড সভাপতি হিসেবে চায় মন্ত্রণালয়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য পরিচালকদের বৈঠকে আমিনুল উপস্থিত থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ফারুককে তার পদ ছাড়তে হবে এবং পরিচালকরাই পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন করবেন।
এ বিষয়ে বর্তমানে আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকা আমিনুল বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগে উপদেষ্টার অফিস থেকে আমাকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল একটি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসতে বলা হয়েছিল। আমি সম্মতি দিয়েছি। আমি বিসিবিতে দীর্ঘদিন থাকতে চাই না। আপনি ভাবতে পারেন আমি আবেগ নিয়ে বলছি, কিন্তু যখন দেশের একজন সৈনিককে প্রয়োজন, তখন সে নিজের বেতন বা স্বার্থের কথা ভাবে না। দেশের সেবা করাই তার প্রথম কাজ। আমার মনোভাবও তাই। বিসিবির যে কোনো দায়িত্ব নিতে আমি প্রস্তুত।”
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলা আমিনুল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ছিলেন দলের অধিনায়ক। খেলা ছাড়ার পর তিনি কোচ, ম্যাচ রেফারি এবং পরবর্তীতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও আইসিসিতে কোচিং ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন: