বিসিবি সভাপতি থাকতে পারছেন না ফারুক
৩০ মে ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ফলে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে তিনি থাকতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবিতে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে ফারুকের মনোনয়ন বাতিলের কথা জানায় এনএসসি। মূলত বোর্ডের আটজন পরিচালকের স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাব এবং বিপিএল সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২১ আগস্ট এনএসসির প্রতিনিধি হিসেবে ফারুক ও নাজমূল আবেদীন ফাহিমকে মনোনয়ন দেয়। এরপর একই দিনে বোর্ড সভাপতি পদেও নির্বাচিত হন ফারুক।
ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে বিসিবির আটজন পরিচালকের স্বাক্ষরিত এক চিঠি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়। সেখানে স্বাক্ষর দেওয়া পরিচালকেরা হলেন বর্তমানে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে থাকা নাজমূল আবেদীন ফাহিম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, ইফতেখার রহমান, মাহবুবুল আনাম, কাজী ইনাম আহমেদ, মনজুর আলম ও সালাহউদ্দিন চৌধুরী। এদের মধ্যে নাজমূল ছাড়া বাকিরা বিগত নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ফারুক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বোর্ড পরিচালনা করছেন এবং গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করছেন। বোর্ডের গঠনতন্ত্রের ১৪-বি ধারা উল্লেখ করে বলা হয়, কোচ নিয়োগ বা বরখাস্তে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন প্রয়োজন হলেও ফারুক তা অমান্য করে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে এককভাবে বরখাস্ত করেন।
এছাড়া ২০২৪–২৫ মৌসুমে বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী ও চট্টগ্রাম কিংসকে অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি যথাযথ যাচাই-বাছাই না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। ফারুকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এক পরিচালক ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানান, ফারুক দীর্ঘদিন ধরে নতুন উপকমিটি গঠনের কাজ বিলম্বিত করে অন্য পরিচালকদের উপেক্ষা করেছেন। পাশাপাশি তার আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা নিয়েও পরিচালকদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়।
অন্যদিকে ফারুক জানান, তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন। কালের কণ্ঠের বরাত দিয়ে ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়, “আমি চিঠিটা দেখেছি। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। হয়ত আইনি ব্যবস্থা নেব। বিসিবি গঠনতন্ত্রে অনাস্থা প্রস্তাবের কোনো জায়গা নেই, তাই আমার কাছে এর কোনো গুরুত্ব নেই। তারা যে অভিযোগ করেছে, সেগুলো তো তারা নিজেরাই করেছে। আমি চিঠি পড়ে হাসি থামাতে পারিনি।”
মন্তব্য করুন: