পাঞ্জাবকে কাঁদিয়ে প্রথম শিরোপা জিতল বেঙ্গালুরু

পাঞ্জাবকে কাঁদিয়ে প্রথম শিরোপা জিতল বেঙ্গালুরু

নিজেদের প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল দু’দল। একদিকে ছিল বিরাট কোহলির ১৮ বছরের অপেক্ষা। অন্যদিকে ছিল টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা পাঞ্জাব কিংস। প্রতিপক্ষকে দুইশর আগে আটকে রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রেখেছিল তারা। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের সামনে কিছুই করতে পারল না দলটি। ৬ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে কোহলির দল ।

মঙ্গলবার আহমেদাবাদে আইপিএলের ১৮তম আসরের ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৯০ রানের সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু। জবাবে পাঞ্জাবের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৮৪ রানে।

এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি কোহলির দল। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে পাঞ্জাবের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়েছিল পাঞ্জাবের। কিন্তু পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই খেই হারিয়ে ফেলে তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা। তবে শশাঙ্ক সিং ক্রিজে থাকায় কিছুটা আশা ছিল দলের। জশ হ্যাজেলউডের করা শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ২৯ রানের। প্রথম দুই বলে শশাঙ্ক কোনো বাউন্ডারি মারতে না পারায় ম্যাচের ফল প্রায় নির্ধারণ হয়ে যায় তখনই। শেষ ৪ বলে ৩ ছক্কা ও এক চারে ২২ রান তুলতে পারেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে।

৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পর জশ ইংলিসের ব্যাটে দ্রুতগতিতে রান তুলছিল তারা। কিন্তু অপর প্রান্তে প্রভসিমরান সিং রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। নবম ওভারে ২২ বলে ২৬ রান করা এই ডানহাতি এই ব্যাটারকে তুলে নিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। পরের ওভারে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে (১) তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিতে শুরু করে বেঙ্গালুরু।

পঞ্চম উইকেট নেহাল ওয়াধেরা ও শশাঙ্কের জুটিতে জয়ের কিছুটা আশা তখনও টিকে ছিল পাঞ্জাবের। কিন্তু ১৭তম ওভারে ভুবেনেশ্বর কুমারের জোড়া আঘাতে সেটিও শেষ হয়ে যায় তাদের।

এর আগে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বেঙ্গালুরুর। দ্বিতীয় ওভারেই ফিল সল্টকে (১৬) হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে জুটি বেঁধে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিতে শুরু করেন কোহলি। তবে পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে আগারওয়ালকে (২৪) তুলে নিয়ে ৩৮ রানের জুটিটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। অধিনায়ক রজত পাতিদার দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও তিনি ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি।

অন্যদিকে ওপেনিংয়ে নামা কোহলি শুরু থেকেই ধীরগতিতে খেলছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৪৩ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এরপর অবশ্য রান তোলায় গতি বাড়ে বেঙ্গালুরুর। লিয়াম লিভিংস্টোন ও জিতেশ শর্মার ব্যাটে দুইশর পথে এগুচ্ছিল তারা। কিন্তু পরপর দুই ওভারে ১৫ বলে ২৫ রান করা লিভিংস্টোন এবং ১০ বলে ২৪ রান করা জিতেশ সাজঘরে ফিরলে তা আর হয়নি। রোমারিও শেফার্ডের ৯ বলে ১৭ রানের সুবাদে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় দলটি।

৪ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন ক্রুনাল।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: