টেস্ট সেরার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অল্পতে অলআউট করে চাপে দ. আফ্রিকাও
১১ জুন ২০২৫

টেস্টে বিশ্ব সেরা হওয়ার লড়াইয়ে কাগিসো রাবাদার পেস তোপে অল্পতেই গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে অজি পেসারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। ১৪ উইকেট পতনের দিন শেষে ১৬৯ রানে পিছিয়ে আছে প্রোটিয়ারা।
বুধবার লর্ডসে ২০২৩-২৫ চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৩ রান। টেম্বা বাভুমা ৩ ও ডেভিড বেডিংহ্যাম ৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
শেষ সেশনে দুই দল মিলিয়ে ৬৫ রানে পতন হয় ৯ উইকেটের।
মেঘলাচ্ছন্ন আকাশের নিচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৬ ওভার ৪ বলে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২১২ রানে। ২০ রানের ভেতর শেষ ৫ উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ক্যারিয়ারে ১৭তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন রাবাদা।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই এইডেন মারক্রামকে বোল্ড করে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ শুরু এনে দেন মিচেল স্টার্ক। ওভারের শেষ বলে বাঁহাতি এই পেসারের দ্রুতগতির ইনসুইং ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে তা লেগ-স্টাম্পে আঘাত হানে।
চতুর্থ ওভারে ভিয়ান মুল্ডারের সহজ ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করতে অ্যালেক্স ক্যারি ব্যর্থ হলে উইকেটের দেখা পাননি স্টার্ক।। তবে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি অজিদের। রায়ান রিকেলটনকে (১৬) ফিরিয়ে নিজের আরেকটি শিকার ধরেন স্টার্ক।
তবে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মুল্ডার। কামিন্সের দারুণ এক ইনসুইংয়ে বোল্ড হয়ে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ধুঁকতে থাকা এই ব্যাটার। এরপর জশ হ্যাজেলউডের ওভারে নিজের ৩০তম বলে প্রথম রানের দেখা পান বাভুমা। নিজের পরের ওভারে ট্রিস্ট্যান স্টাবসকে (২) বোল্ড করে উইকেট শিকারে যোগ দেন হ্যাজেলউডও।
এর আগে দিনের সপ্তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধস নামান রাবাদা। ওভারের তৃতীয় বলে ডানহাতি এই পেসার তার প্রথম শিকার হিসেবে ধরেন কোনো রান না করা উসমান খাজাকে। এরপর ওভারের শেষ বলে রাবাদার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন দলে ফেরা ক্যামেরন গ্রিন (৪)।
শুরুর বিপর্যয় সামাল দিতে নতুন ওপেনার মারনাস লাবুশেনকে নিয়ে হাল ধরেন স্টিভেন স্মিথ। তবে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে ধুঁকতে থাকা লাবুশেন ১৭ রান করে কটবিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্কো ইয়েনসেনের বলে। বাঁহাতি এই পেসারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ট্র্যাভিস হেড (১১)।
মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলকে টেনে তুলতে পঞ্চম উইকেটে বোউ ওয়েবস্টারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন স্মিথ। ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪২তম ফিফটি। অপরপ্রান্তে প্রোটিয়া পেসারদের জবাব দিতে থাকেন ওয়েবস্টারও। তবে মারক্রামের বলে স্মিথ আউট হলে ভাঙে ৭৯ রানের জুটিটি। ৬৬ রানের ইনিংস খেলার পথে অতিথি কোনো ব্যাটার হিসেবে লর্ডসে সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহকের মালিক হয়ে যান স্মিথ।
ষষ্ঠ উইকেটে ক্যারিকে নিয়ে দলের সংগ্রহ বাড়াতে থাকা ওয়েবস্টার তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তবে চা বিরতির পর ক্যারিকে (২৩) বোল্ড করে এই জুটি থামান কেশব মহারাজ। এরপর বাকি কাজটা সারেন রাবাদা ও ইয়েনসেন।
কামিন্সকে বোল্ড করার পর ৭২ রান করা ওয়েবস্টারকেও ফেরান রাবাদা। ন্যাথান লায়নকে বোল্ড করেন ইয়েনসেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে স্টার্ককে বোল্ড করে পঞ্চম শিকার ধরেন ৩০ বছর বয়সী রাবাদা। ইয়েনসেনের শিকার ৩ উইকেট।
মন্তব্য করুন: