এখনই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের স্বপ্ন দেখা বোকামি: শান্ত
১২ জুন ২০২৫

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই চক্রের চেয়ে এবারের চক্রে বেশ ভালো করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ দিয়ে ২০২৫-২৭ চক্রের শুরু করতে যাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে এখনই টেস্ট সেরার খেতাবের শিরোপার মঞ্চে নিজেদের দেখছেন না টাইগার দলপতি। তার লক্ষ্য, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ধাপে ধাপে এগোনো।
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার লর্ডসে চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে ২০২৩-২৫ চক্রের খেলা। এরপর আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হবে ২০২৫-২৭ চক্রের খেলা।
শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বৃহস্পতিবার সফরকে সামনে রেখে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে আসেন শান্ত। সেখানে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে, এমন স্বপ্ন দেখা যায় কি না।
প্রশ্নের জবাবে কোনো উচ্চাভিলাষ না রেখে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, “এটা তো অনেক অনেক বড় স্বপ্ন। এত দূরে যদি আমি এখনই চিন্তা করি, তাহলে আসলে বোকামি হবে, আমার কাছে মনে হয়। ছোট ছোট ভাবে যদি এগোতে পারি তাহলে খুব ভালো। কারণ আপনি যদি দেখেন, আমরা যখন শুরু করেছিলাম, এর আগের চক্রে আমরা একটা ম্যাচ জিতেছিলাম, গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। তাই লক্ষ্য থাকবে যে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।”
তবে এখনই না হলেও ভবিষ্যতে কোনো একদিন বাংলাদেশ খেলবে বলে আশা প্রকাশ করে শান্ত বলেন, “এভাবে ছোট ছোট চিন্তু করে যদি এগোতে পারি, একটা সময় হয়তো বাংলাদেশ দল ফাইনাল খেলবে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে, এ বছর, পরের দুই বছরের মধ্যে গত চক্রের চেয়ে কীভাবে ভালো ফল করা যায়।”
২০২৩-২৫ চক্রে চারটি ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বরে থেকে চক্র শেষ করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিনটি জয় এসেছিল দেশের বাইরে। আর ঘরের মাঠে ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছিল তারা।
অন্যদিকে প্রথম দুই চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা ছিল স্রেফ একটি। নতুন চক্রে এই সংখ্যাটা বাড়ানোর লক্ষ্য শান্তদের। তবে এজন্য ঘরের মাঠে ভালো খেলার তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“আমার মনে হয় যে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো জিততে হবে আমাদের। আমরা খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছিলাম গতবার ঘরের মাঠে। যদি দেশের মাটিতে আরেকটি ভালো খেলতে পারতাম দেশের মাটিতে, তাহলে হয়তো আরও দুইট ম্যাচ, তিনটা ম্যাচ বেশি জেতা থাকত। জয়ের সংখ্যাটা আরেকটু বাড়ত। চিন্তা তো এটাই ঘরের মাঠের টেস্টগুলো কীভাবে জিততে পারি।”
“ঘরের মাঠে যখন টেস্ট হবে, তখন আসলে ওভাবে আরেকটু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে খেলব। বাইরে ভালো হয়েছে, এই আত্মবিশ্বাসটা কাজে দেবে। ইনশাআল্লাহ, এবছর যদি আমরা বাইরের মাটিতে ভালো রেজাল্ট করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে, এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যে চক্রটা, এটাতে আরও ভালো রেজাল্ট হবে।”
মন্তব্য করুন: