টাইমড আউট হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ পুষে রাখেননি ম্যাথিউস

টাইমড আউট হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ পুষে রাখেননি ম্যাথিউস

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চলেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাট থেকে বিদায়ের বেলাতেও উঠে এসেছে, টাইগারদের বিপক্ষে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের টাইমড আউট হওয়ার ঘটনাটি। তবে নিয়ে মনের মধ্যে কোনো ক্ষোভ পুষে রাখেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার গলে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। নিজের বিদায়ী টেস্টে মাঠে নামার আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কানদের প্রতিনিধি হয়ে আসেন ম্যাথিউস। সেখানে এক পর্যায়ে উঠে আসে তার টাইমড আউটের ঘটনাটি।

ঘটনাটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। তারা আমার বন্ধু, তাদের বিপক্ষে (ব্যক্তিগতভাবে) আমার কিছু নেই। আমাদের সঙ্গে সবসময় ভালো (আচরণ) করেছে ওরা। ওই সময় আমাদের কিছু বাক্যবিনিময় হয়েছিল। কিন্তু আমি ক্ষোভ পুষে রাখি না। ক্ষোভ ক্রিকেটের জন্য খারাপ শব্দ।

২০২৩ সালের নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ২৫তম ওভারে চতুর্থ উইকেট পতনের পর ক্রিজে আসেন ম্যাথিউস। তবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ক্রিজে আসায় তাকে টাইমড আউটের জন্য আবেদন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরে ম্যাথিউসকে আউট ঘোষণা করা হয়। শেষ পর্যন্ত সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সেই ম্যাচ জিতে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

টাইমড আউট হওয়ায় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন ম্যাথিউস। এমনকি সাকিবকে আউট করার পর হাতে ঘড়ির দিকে ইশারা করে উদ্যাপন করেছিলেন এই অলরাউন্ডার।

বিষয়টি নিয়ে গত শনিবার ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ম্যাথিউস দাবি করেন, তাকে আউট দেওয়ায় ম্যাচ শেষে আম্পায়ার ম্যাচ রেফারি তার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।

আমার মনে হয়, সেটা এমন এক সময় ছিল যখন আমি অনেক কথা বলেছিলাম। কারণ আমি রেগে গিয়েছিলাম এবং হতাশ হয়েছিলাম। আমি কোনো ভুল করিনি। ম্যাচের পর যখন আমি ম্যাচ রেফারি আম্পায়ারদের ভিডিওটি দেখালাম, তারা বুঝতে পেরেছিলেন এবং দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হচ্ছিল, আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। জানি না কেন তাদের মনে হলো আপিল করবে।

আমার মনে হয় আম্পায়ারদের আরেকটু ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। যখন আমি ক্রিজে যাই তখনও দুই মিনিটের সীমা পার করিনি। আমার হেলমেট তখন ভেঙে গিয়েছিল, মাঠে নামার আগে ভাঙেনি। তাই আমার রাগ করার যৌক্তিক কারণ ছিল।

মন্তব্য করুন: