শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে শুরুর দিন বাংলাদেশের

দিনের শুরুতে টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভালো অবস্থানে থেকে দিনের খেলা শেষ করেছে অতিথিরা।

মঙ্গলবার গলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২৭ চক্রের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২ রান। শান্ত ১৩৬ রান ও মুশফিক ১০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার ৪৪৩ বলে এখন পর্যন্ত যোগ করেছেন ২৪৭ রান, যা লঙ্কানদের বিপক্ষে এই উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল লিটন দাস ও মুমিনুল হকের। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ১৮০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা মুশফিক ২০২৪ সালের আগস্টে সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর টেস্টে তিন অঙ্কের দেখা পেলেন অধিনায়ক শান্ত।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ দেখেন এনামুল হক বিজয়। এরপর সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক মিলে দলের শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিষিক্ত থারিন্দু রত্নায়েকের পরপর দুই ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন এই দুই ব্যাটার। ৫৩ বলে ১৪ রান করে ফেরেন সাদমান। দারুণ খেলতে থাকা মুমিনুল ফেরেন ২৯ রান করে।

১৬ ওভার ১ বলে ৪৫ রানের ভেতর টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরে লঙ্কান স্পিনারদের সামলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শান্ত ও মুশফিক। মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর দু’জনই তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি। ১৩ ইনিংস পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অর্ধশতকের দেখা পান মুশফিক। দ্বিতীয় সেশনের ৩০ ওভারে এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় দলের খাতায় যোগ হয় ৯২ রান।

শেষ সেশনেও বোলারদের চাপে রাখেন শান্ত-মুশফিক। কোনো সুযোগ না দিয়ে ২০২ বলে ১১ চার ১১ চার ও এক ছক্কায় ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাঁহাতি এই ব্যাটারের এটি দ্বিতীয় শতক। সঙ্গীর দেখানো পথে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন মুশফিকও। ১৭৬ বলে ৫ চারে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।