ডাকেটের সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু ইংল্যান্ডের
২৪ জুন ২০২৫

ইংল্যান্ডের বাজবলের সামনে যশপ্রীত বুমরাহর নেতৃত্বে ভারতের পেস আক্রমণের লড়াই দেখার জন্য শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বৃষ্টির শঙ্কায় সম্ভাবনা ছিল যেকোনো ফল আসারও। কিন্তু বেন ডাকেটের ব্যাটে শেষ হাসি হেসেছে ইংলিশরা। বাঁহাতি এই ব্যাটারের সেঞ্চুরির সুবাদে ৫ উইকেটের জয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বেন স্টোকসের দল।
মঙ্গলবার হেডিংলিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের দেওয়া ৩৭১ রানের লক্ষ্য বৃষ্টি বিঘ্নিত শেষ দিনে তাড়া করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। বোলারদের শাসন করে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন ডাকেট। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
এটি ইংল্যান্ডের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার কীর্তি। সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটিও ভারতের বিপক্ষে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে বার্মিংহ্যামে ৩৭৮ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিল তারা।
২১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা ডাকেট-জ্যাক ক্রলির উদ্বোধনী জুটি পেসারদের নির্বিষ বোলিংয়ে কোনো বিপদ ছাড়াই প্রথম সেশন পার করে দেন। বিরতির পর ফিফটি তুলে নেন প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া ক্রলি। বড় হতে থাকা এই জুটি থামানোর সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কিন্তু ৯৭ রানে থাকা ডাকেটের ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন যশস্বী জয়সোয়াল। ১২১ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডাকেট।
এরপর বৃষ্টির বাধায় প্রথম দফায় বন্ধ হয় খেলা। খেলা শুরু হতেই ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় শুভমান গিলের দল। ক্রলিকে (৬৫) ফিরিয়ে ১৮৮ রানের জুটিটি ভাঙেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ডানহাতি এই পেসারের পরের ওভারে বোল্ড হয়ে ফেরেন প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকানো অলি পোপ (৮)।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জো রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিপর্যয় আর বড় হতে দেননি ডাকেট। তবে চা বিরতির আগে বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরিয়ে ভারতকে কিছুটা স্বস্তি দেন শার্দুল ঠাকুর। পরের বলে হ্যারি ব্রুককে তুলে নিয়ে নাটকীয় কিছুর আভাস দেন ডানহাতি এই পেসার।
শেষ সেশনে রুট-স্টোকসের ব্যাটে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে স্বাগতিকরা, তবে এক্ষেত্রে অবদান আছে ভারতের বিবর্ণ ফিল্ডিংয়েরও। ক্যাচের সুযোগ কাজে না লাগাতে পারা ছাড়াও ফিল্ডিং মিসের মহড়ায় সহজেই রান তুলতে থাকে তারা। রবীন্দ্র জাদেজার বলে টানা রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টোকস (৩৩)। এরপর জেইমি স্মিথকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রুট। ক্যারিয়ারের ৬৬তম ফিফটিতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া বুমরাহ দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন উইকেট শূন্য।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়সোয়াল, গিল ও পান্তের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জবাবে পোপের সেঞ্চুরির পর ব্রুকের ৯৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ৪৬৫ রানে থামে ইংলিশদের ইনিংস। ৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারীরা লোকেশ রাহুল ও পান্তের জোড়া শতকে ৩৬৪ রানে অলআউট হয়।
আগামী ২ জুলাই বার্মিংহ্যামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে দু’দল।
মন্তব্য করুন: