৮ উইকেটে ২২০ রান বাংলাদেশের

৮ উইকেটে ২২০ রান বাংলাদেশের

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় জুটি গড়তে পারেননি ব্যাটাররা। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম দিনে ৭১ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার কলম্বোয় বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিরিশের ঘরে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ পঞ্চম ওভারেই হারায় এনামুল হক বিজয়ের উইকেট। ইনিংসের শুরু থেকেই আসিথা ফার্নান্দোর বলে হিমশিম খাওয়া এই ওপেনার ১০ বল খেলে আউট হন রানের খাতা না খুলেই। উইকেটকিপারের কাছে ক্যাচ দিয়েও পাওয়া জীবনটা কাজে লাগাতে পারেনি। পরের ডেলিভারিতেও ব্যাটের বাইরের কানায় লাগিয়েছিলেন, তবে বল পড়ে দ্বিতীয় স্লিপের একটু সামনে।

ডানহাতি এই ব্যাটারের দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ের অবসান ঘটে আসিথার পরের ওভারে। ডানহাতি এই পেসারের কিছুটা উঁচুতে ওঠা ডেলিভারিটি খেলতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন বিজয়। এখন পর্যন্ত ৮ টেস্টে ১৪ ইনিংসে ব্যাট করা বিজয়ের রান ১৪৩, গড় মাত্র ১০ দশমিক ২১।

৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর সাদমান ও মুমিনুল ধীর ব্যাটিংয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধনঞ্জয়া ডি সিলভার করা অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে কভার অঞ্চলে সহজ ক্যাচ তুলে ২১ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল।

২ উইকেটে ৭১ রানে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ দ্রুত হারায় শান্তর (৮) উইকেট। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে থারিন্দু রত্নায়েকের শিকার হয়ে ফেরেন ৪৬ রান করা সাদমান।

বৃষ্টির বাধায় এক ঘণ্টা পর খেলা শুরু হওয়ার পর দলকে চাপমুক্ত করতে লঙ্কানদের ওপর চড়াও হতে শুরু করেন মুশফিক-লিটন জুটি। তবে এক্ষেত্রে অবদান আছে ফিল্ডারদেরও। ৯৩ রানে ব্যক্তিগত ৮ রানে থাকা মুশফিকের ক্যাচ ছাড়েন লাহিরু উদারা। এরপর লিটনের উপরে ওঠা বল দৌড়ে নাগালের মধ্যে পেলেও তা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন বোলার প্রভাত জয়াসুরিয়া। পরের ওভারেই অভিষিক্ত সোনাল দিনুশার শিকার হয়ে ফেরেন ৩৪ রান করা এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। ভাঙে পঞ্চম উইকেটের ৬৭ রানের জুটি।

আগের দুই সেশনের মতো শেষ সেশনেও বাংলাদেশের শুরুটা হয় উইকেটের পতন দিয়ে। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৫ রান করা মুশফিক। নাঈম হাসানকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি মিরাজ (৩১)। স্লিপে কামিন্দু মেন্ডিসের দারুণ এক ক্যাচে শেষ হয় সপ্তম উইকেটে ৩৭ রানের জুটি। শেষবেলায় আসিথার দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন ২৫ রান করা নাঈম।

তাইজুল ইসলাম ৯ ও ইবাদত হোসেন ৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

মন্তব্য করুন: