২১১ রানের লিড নিয়ে থামল শ্রীলঙ্কা

আগের দিনে বাংলাদেশের ধারহীন বোলিংয়ে বড় লিডের ভিত পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে সে পথে লাগাম টেনে ধরার চেষ্টায় ছিল সফরকারীরা। কিন্তু এরপর কুশল মেন্ডিসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২১১ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংসে থেমেছে স্বাগতিকরা।

শুক্রবার কলম্বোয় মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৪৫৮ রানে। ক্যারিয়ারে ১৭তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে তাদের ইনিংস শেষ করেন তাইজুল ইসলাম।

৬ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে বিরতির পর খেলা শুরু করা লঙ্কানরা শুরুতেই হারায় সোনাল দিনুশাকে (১০)। অভিষিক্ত এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন নাঈম হাসান। এরপরই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালাতে শুরু করেন কুশল। ৬০ বলে ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি তুলে নেওয়ার পর সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। কিন্তু দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়ে তাকে ফিরতে হয় ৮৭ বলে ৮৪ রান করে।

মাঝে থারিন্দু রত্নায়েকের পর শেষ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দোকে তুলে নিয়ে নিজের পঞ্চম শিকার ধরেন তাইজুল। ৪২ ওভার ৫ বলে বাঁহাতি এই স্পিনার ১৩১ রান দেন। নাঈমের শিকার ৩ উইকেট।

এর আগে ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা স্বাগতিকদের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন তাইজুল। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর দিনের পঞ্চম ওভারে ১৫৮ রান করা পাতুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৭) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা প্রভাত জয়াসুরিয়াকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম শিকার ধরেন নাহিদ রানা। তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরতে কুশল নিয়ে জুটি বাঁধেন কামিন্দু মেন্ডিস। তবে এক্ষেত্রে তাদের সহায় হয় ভাগ্যও। নাহিদ রানার করা ৯৩তম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিটি কামিন্দুর ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে স্টাম্পে লাগলেও বেল পড়েনি। সে সময় লঙ্কানদের সংগ্রহ ছিল ৩৫৪ রান।

তবে এই জুটি পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে ভাঙেন নাঈম হাসান। দারুণ এক ডেলিভারিতে ৩৩ রান করা কামিন্দুকে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।