প্রথম ইনিংসের বাজে ব্যাটিংকে দায়ী করলেন শান্ত

গল টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ভালো কিছুর আশায় আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচজন ব্যাটার তিরিশের বেশি করে রানও করেছিলেন। কিন্তু কেউই ফিফটির দেখা না পাওয়ায় এবং বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হওয়ায় প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি সফরকারীরা। ম্যাচ শেষে হারের কারণ হিসেবে এটিকেই দায়ী করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

শনিবার কলম্বো টেস্টের চতুর্থ দিন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ও ৭৮ রানে হারে বাংলাদেশ। এই ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম সাত ব্যাটারই ব্যাট হাতে দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন সাদমান ইসলাম। মুশফিক ৩৫, লিটন দাস ৩৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩১ ও তাইজুল ইসলাম ৩৩ রান করে আউট হন। এছাড়া মুমিনুল হক ২১ ও নাঈম হাসান ২৫ রান করে সাজঘরের পথ দেখেন।

পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি আসে কেবল একটি। প্রথম ইনিংসে পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও লিটন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩২ রানের জুটিটি আসে মুমিনুল-শান্তর ব্যাট থেকে।

অথচ গলে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ। শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে তারা ৪৯৫ রানের সংগ্রহ পায়। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তর শতকে ২৮৫ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়।

কলম্বোয় ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের হারের কারণ হিসেবে তখনকার অধিনায়ক শান্ত বলেন, “প্রথম ম্যাচ যেভাবে শেষ করেছি এরপর এটা যেভাবে হেরেছি তা সত্যিই হতাশার। আমরা ভালো খেলিনি। প্রথম ইনিংসে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি তা মোটেও ভালো ছিল। সেটাই আমাদের ম্যাচটি হারিয়েছে।”

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াতে কোনো ভুল ছিল না জানিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, “আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি তা মোটেও ভালো ছিল না। আমরা সবসময় সহজ দিকগুলো বেছে নিয়েছি এবং প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে অনেক ভুল করেছি।”

ব্যাটিং ছাড়াও শ্রীলঙ্কার ইনিংসে বোলিংয়েও নিজেদের ভুল দেখেন শান্ত। বিশেষ করে শুরুর দিকে পাতুম নিসাঙ্কা ও লাহিরু উদানার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দল ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় বলে মনে করেন সদ্য বিদায়ী অধিনায়ক।

“বোলিংয়ে একদমই আমরা ভালো শুরু করিনি। আপনি যদি দেখেন শুরুর দিকে আমরা ৪, ৫ এমকি ৬ করেও রান (ওভারপ্রতি) দিয়েছি। যখন এই ধরনের ভালো শুরু একজন ব্যাটার পেয়ে যায় তখন এটা পরে স্পিনারদের জন্য কঠিন হয়ে যায় রানটা নিয়ন্ত্রণে রাখা।… যেটার কারণে ওরা খুব স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করেছে। যদি আমরা রানটা একটু কম দিতাম, উইকেট যদি নাও পেতাম তাহলে হয়তো আরেকটু ভালো কিছু আশা করতে পারতাম।”