কামিন্সের পূর্ণ আস্থায় আছেন ছন্দহীন কনস্ট্যাস
২৮ জুন ২০২৫

আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের আগমনী বার্তা দিলেও এখনও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি স্যাম কনস্ট্যাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ছিলেন তিনি। তবে অনভিজ্ঞ এই ব্যাটার দ্রুতই তার সামর্থের প্রমাণ দেবেন বলে বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের।
শুক্রবার বার্বাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনেই ১৫৯ রানের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচ দিয়ে তিন টেস্ট পর একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন কনস্ট্যাস। প্রথম ইনিংসে তিনি ফেরেন ৩ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ বছর বয়সী এই ওপেনার ছিলেন আরও নড়বড়ে। শুরুতে দুটি জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। ৩৮ বল খেলে সাজঘরে ফেরেন ৫ রান করে। দুই ইনিংসেই তাকে ফেরান শামার জোসেফ।
গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই নজর কেড়েছিলেন কনস্ট্যাস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অভিষেক ইনিংসে করেন ৬০ রান। তবে এরপরের পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটার করেছেন কেবল ৬১ রান।
ম্যাচ শেষে কনস্ট্যাসের পাশে দাঁড়িয়ে কমিন্স বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন দিকগুলোর একটা হলো, সবসময় ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতে হয়। একজন তরুণ হিসেবে আপনার হয়তো পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেই। তাই বড় মঞ্চেই আপনাকে নিজের খেলা শিখতে হয়।”
“এই ধরনের উইকেটে সবথেকে কঠিন বিষয়টি হলো নিজের স্বাচ্ছন্দের জায়গার বাইরে এসে রান করার চেষ্টা করা। কিন্তু সেটা খুব কঠিন। আপনারা আজ লক্ষ্য করেছেন শট খেলাটা কতটা কঠিন। স্যামি (কনস্ট্যাস) গতকাল কিছু চেষ্টা করেছে, যা সফল হয়নি। তবে ওর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।"
কনস্ট্যাসের পাশাপাশি তিন নম্বর পজিশনে নতুন দায়িত্ব পাওয়া ক্যামেরন গ্রিনও রান করতে হিমশিম খেয়েছেন। তবে ট্র্যাভিস হেড, বোউ ওয়েবস্টার ও অ্যালেক্স ক্যারির ফিফটি অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা ক্যারিবিয়ানরা জশ হ্যাজেলউডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে (৪৩ রানে ৫ উইকেট) ১৪১ রানে গুটিয়ে যায়। ম্যাচ শেষ হয়ে যায় দুই দিন আগেই। তবে এত অল্পতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তারা অলআউট করতে পারবে, এমনটা ভাবেননি অজি অধিনায়ক।
“উইকেট অনেক কিছু করছিল। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো কিছু উইকেট পাব। কিন্তু পুরো ১০টা আশা করিনি। তবে দু'দিন ছুটি পাওয়া তো অবশ্যই ভালো লাগার।”
“হেড, ওয়েবস্টার আর ক্যারি, এই তিনজন অসাধারণ ছিল। ওরা সবসময় স্কোরবোর্ড চালু রেখেছিল। ভালো সুযোগ নিয়েছিল এবং সবসময় রানের খোঁজে ছিল। এইটাই পার্থক্য ছিল। আজ মাঠে নামার সময়ও আমরা ভাবিনি বড় লিড পাব। এটা ৫০-৫০ ছিল। কিন্তু তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে এনেছে। তারা তিনজন সত্যিই অনবদ্য ছিল।”
মন্তব্য করুন: