মাহেদীর ৪ উইকেট, সিরিজ জয়ে ১৩৩ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

একাদশে ফিরে বল হাতে নিয়েই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং-অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন শেখ মাহেদী হাসান। ডানহাতি এই অফস্পিনারের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয়ের জন্য ১৩৩ রানের লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মাহেদী। বুধবার কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৩২ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। শেষ ওভারে শরিফুল ইসলাম বাজে বোলিংয়ে ২২ রান না দিলে লক্ষ্যটা আরও ছোটো হতো বাংলাদেশের।

ব্যাট হাতে আগ্রাসী শুরুই ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। কিন্তু প্রথম ওভারের শেষ বলে কুশলকে (৬) ফিরিয়ে এই জুটিকে ভয়ঙ্কর হতে দেননি শরিফুল। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই কুশল মেন্ডিসকে সাজঘরের পথ দেখান মাহেদী। এরপর বড় আর কোনো জুটি গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা।

নিসাঙ্কা এক প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিনেশ চান্দিমালকে (৪) তুলে নেন মাহেদী। পরের ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কার (৩) স্টাম্প ভাঙেন তিনি। ফিফটির পথে এগুতে থাকা নিসাঙ্কাকে (৪৬) ফিরতি ক্যাচে সাজঘরের পথ দেখিয়ে নিজের চতুর্থ শিকারটি ধরেন এই স্পিনার।

৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে বড় সংগ্রহের পথে নেওয়ার চেষ্টার চালান কামিন্দু মেন্ডিস ও দাসুন শানাকা জুটি। কিন্তু কামিন্দুকে (২১) ফিরিয়ে ২২ রানের এই জুটি ভেঙে তা আর হতে দেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী।

সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল ১২০ রানও হয়তো তুলতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শরিফুলের করা শেষ ওভারে সব ওলটপালট করে দেন শানাকা। দুটি করে চার ও ছক্কায় দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]