উড়তে থাকা ভারতকে ১৬৮ রানে থামাল বাংলাদেশ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলে তাণ্ডবে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল ভারত। কিন্তু রিশাদ হোসেন বোলিংয়ে আসতেই বদলে গেল চিত্র। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দুর্দান্ত রান আউটে এই লেগ স্পিনার টেনে ধরেন রানের লাগামও।
বুধবার দুবাইয়ে সুপার ফোরের ম্যাচে অভিষেকের ফিফটির সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। নিজের প্রথম দুই ওভারে ৩৩ রান দিয়েছিলেন এই পেসার।
প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান তোলা ভারত বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইনিংসের বাকি অংশে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৭২ রান। তিন ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে তানজিম হাসান সাকিব শুরুটা ভালোই করেন। কিন্তু ডানহাতি এই পেসারের দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে ৭ রানে থাকা অভিষেকের কিছুটা কঠিন ক্যাচ গ্লাভসবন্দি ব্যর্থ হন লিটন দাসের বদলে এই ম্যাচের অধিনায়ক জাকের আলী। এরপরই খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন বিধ্বংসী এই ব্যাটার।
পরের তিন ওভারে বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ৫৫ রান তোলেন অভিষেক ও গিল। পাওয়ারপ্লে শেষে দলের খাতায় যোগ হয় ৭২ রান। এরপর বোলিংয়ে এসেই রানের লাগাম টেনে ধরতে শুরু করেন রিশাদ। তাকে সঙ্গ দেন সাইফ হাসান। সপ্তম ওভারে গিলকে (২৯) ফিরিয়ে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রিশাদ। এক ওভার পরে তুলে নেন শিভম দুবেকেও (২)।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান অভিষেক। বাঁহাতি এই ওপেনার তার ফিফটি তুলে নেন ২৫ বলে। রিশাদ ও সাইফ স্পিনে দল রানের লাগাম টেনে ধরলেও একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে তা আলগা করে দেন সাইফউদ্দিন। এই ওভারে হজম করেন ১৬ রান। এর আগে পাওয়ারপ্লেতে নিজের প্রথম ওভারে দেন ১৭ রান।
পরের ওভারে অভিষেকের আগ্রাসন থামাতে বড় অবদান রাখেন রিশাদ। পয়েন্ট অঞ্চলে বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে এক হাতে সূর্যকুমার যাদবের বল থামিয়ে দ্রুত ছুঁড়ে মারেন বোলার প্রান্তে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের দিকে। মুস্তাফিজ স্টাম্প ভাঙার আগে ক্রিজে ঢুকতে ব্যর্থ হন অভিষেক। তিনি ফেরেন ৩৭ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রান করে।
এরপর বোলারদের ওপর খুব একটা ছড়ি ঘোরাতে পারেনি ভারত। সূর্যকুমারকে আউট করে ক্যারিয়ারের ১৫০তম উইকেট নেন মুস্তাফিজ। একই সঙ্গে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকও বনে যান বাঁহাতি এই পেসার।
তিলক ভার্মাকে (৫) ফিরিয়ে নিজের একমাত্র উইকেটটি নেন দারুণ বোলিং করা তানজিম। শেষ পর্যন্ত হার্দিকের ৩৮ রানের সুবাদে লড়াকু সংগ্রহ পায় ভারত। ইনিংসের শেষ বলে তাকে তুলে নেন সাইফউদ্দিন।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: