রান উৎসবে মেতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজ

রান উৎসবে মেতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজ

সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে প্রতিনিয়তই বড় স্কোরের ম্যাচ দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যাটাররা এমন রান উৎসবে মেতে উঠবেন কি না তা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকটাই দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে দু’দল মিলে রান তুলেছে ৪৭৯! যা ইঙ্গিত দিচ্ছে আইপিএলের মতো রানবন্যার একটি বিশ্বকাপের।

শুক্রবার ত্রিনিদাদে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে ক্যারিবিয়ানরা তোলে ৪ উইকেটে ২৫৭ রান। জবাবে ৯ জনের অস্ট্রেলিয়া করে ৭ উইকেটে ২২২ রান। ৩৫ রানে ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মূল পর্বের প্রস্তুতি সারল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আইপিএলে খেলা মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, ক্যামেরন গ্রিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ট্র্যাভিস হেড এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। বুধবার মার্কাস স্টয়নিস দলের সঙ্গে যোগ দিলেও তার খেলার সরঞ্জাম এখনও না পৌঁছানোয় এই ম্যাচে মাঠের বাইরেই ছিলেন। ফলে নামিবিয়া ম্যাচের মতো এদিনও বদলি ফিল্ডারের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি এবং দুই সহকারী কোচ ব্র্যাড হজ ও আন্দ্রে বরোভেক। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর মূল ছড়িটা ঘোরান তিন ব্যাটার। তিনে নামা নিকোলাস পুরান খেলেন ২৫ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস, যেখানে চার ছিল ৫টি ও ছক্কা ৮টি। বাঁহাতি এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে তাণ্ডব শুরু করেন রোভম্যান পাওয়েল। ৪টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। আর ৪টি করে চার ও ছক্কায় ১৮ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন শারফেইন রাদারফোর্ড।

বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সবাই ছিলেন খরুচে। দলের দুই মূল স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা ও অ্যাশটন অ্যাগার তাদের ৮ ওভারে দেন ১২০ রান। ৬২ রানে ২ উইকেট নেন জ্যাম্পা। আগের ম্যাচে তিন মেডেন দেওয়া জশ হ্যাজেলউড এদিন ৫৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন অ্যাগার। বাঁহাতি এই ব্যাটার ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রানের ইনিংসও খেলেন। তবে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ওয়ার্নার (১৫), অ্যাগার ও অধিনায়ক মার্শকে (৪) হারিয়ে কার্যত লড়াই থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারকে ফেরান শামার জোসেফ।

চারে নামা জশ ইংলিস ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৫৫ রান। এরপর টিম ডেভিডের ১২ বলে ২৫, ম্যাথিউ ওয়েডের ১৪ বলে ২৫ ও এলিসের ২২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস ব্যবধান কমায়।

আগামী ২ জুন গায়ানার প্রভিডেন্সে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে ওমানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া।

মন্তব্য করুন: