মেসি জাপানে খেলায় ব্যাখ্যা দাবি হংকং সরকারের

চোটের কারণে ইন্টার মায়ামির হয়ে হংকংয়ে প্রীতি ম্যাচ না খেললেও তিন দিন পর জাপানে ঠিকই মাঠে নেমেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলারকে হংকং মাঠে দেখতে না পেরে হতাশ নগর প্রশাসন ম্যাচের আয়োজক এবং ক্লাবের কাছে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে।

গত রোববার হংকং একাদশের বিপক্ষে প্রাক–মৌসুম প্রস্তুতি উপলক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল ইন্টার মায়ামি। ৪-১ গোলে মায়ামির জয় পাওয়া ম্যাচটি সাইডবেঞ্চে বসে দেখেছেন মেসি। এসময় ক্ষুব্ধ দর্শকরা তাকে দুয়োও দিয়েছিল। বাধ্য হয়ে পরবর্তীতে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে না খেলানোয় ক্ষমা প্রার্থনা করেন ইন্টার মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো। এতেও কাজ হয়নি। মেসিকে না খেলানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভও করেছেন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা।

বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে দেয় জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির প্রীতি ম্যাচে মেসির মাঠে নামা। টাইব্রেকারে মায়ামির ৪-৩ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচটির ৬০তম মিনিটে মেসি মাঠে নামেন। এত অল্প সময়ে মেসির চোট কীভাবে সেরে গেল, তার ব্যাখ্যা দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে হংকং সরকার, “(হংকংয়ে ম্যাচের) তিন দিন পর মেসিকে জাপানে কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলতে দেখা গেল। সরকার আশা করছে, আয়োজক পক্ষ এবং দল এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেবে।”

মেসি না খেলায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছেন হংকংয়ের আয়োজকেরা। এই ম্যাচের জন্য আয়োজকদের অনুদান দিয়েছিল হংকং সরকার। ইতোমধ্যেই সেখান থেকে অর্থ কেটে রাখার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মেসিকে অন্তত ৪৫ মিনিট খেলানোর ব্যাপারে আয়োজদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বলে জানান হংকংয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী। বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার খেলা দেখতে চীনের জিনজিয়াং থেকে ১২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে হংকংয়ে গিয়েছিলেন অনেক সমর্থক। তাদের হতাশার কি আর সীমা পরিসীমা আছে?

হংকং সরকারের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা রেজিনা আইপি তার ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “হংকংকে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করার জন্য মেসি, ইন্টার মায়ামি এবং তাদের পেছনে কলকাঠি নাড়ানো সেই কালো হাতকে হংকংয়ের জনগণ ঘৃণা করে।”