যে পথ দেখিয়েছিলেন সাঈদ আনোয়ার

যে পথ দেখিয়েছিলেন সাঈদ আনোয়ার

ক্রিকেট মানেই এখন রানের খেলা। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাট-বলের ভারসাম্য এখন কতটা আছে- তা নিয়ে নিয়মিতই প্রশ্ন উঠছে। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে গত দুই যুগে দুইশর ওপর ব্যক্তিগত স্কোর দেখা গেছে ১২ বার। অথচ ওয়ানডেতে প্রথম দুইশ রানের স্কোর পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৯ বছর! ২৭ বছর আগে এই দিনে পথটা দেখিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ব্যাটার সাঈদ আনোয়ার।

সেকালের পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে কেউ ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারে, এটা বেশিরভাগ মানুষেরই কল্পনাতেও আসত না। কারণ, সেইসব দিনে দলীয় স্কোর আড়াইশ হলেই সেটা উইনিং স্কোর হয়ে যেত। ১৯৯৭ সালের ২১ মে ইন্ডিপেন্ডেন্টস কাপে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ১৪৬ বলে ১৯৪ রানের ইনিংস খেলে সাঈদ আনোয়ার জানান দেন, কোনো একদিন ওয়ানডেতেও ডাবল সেঞ্চুরি সম্ভব হতে পারে। তার সেই ইনিংসে ছিল ২২টি চার এবং ৫টি ছক্কার মার। পাকিস্তান ৩২৭ রান করে ম্যাচটি জিতেছিল ৩৫ রানে।

সাঈদ আনোয়ারের সেই ইনিংসে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের নতুন বিশ্বরেকর্ড হয়েছিল। ভেঙে গিয়েছিল ১৩ বছর আগে ১৯৮৪ সালের ৩১ মে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের করা ১৮৯* রানের রেকর্ড। কাকতালীয় হলেও সত্যি যে, সাঈদ আনোয়ারের সেই রেকর্ড ভাঙতেও লেগেছিল ঠিক ১৩ বছর! ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ২০০ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সেই প্রথমবার দেখা যায় ব্যক্তিগত দুইশ রানের স্কোর।

এরপর দ্রুতই বদলে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ২০১১ সালেই টেন্ডুলকারের বিশ্বরেকর্ড নিজের করে নেন বীরেন্দ্র শেবাগ (২১৯)। এরপর বারবার হাত বদল হয়েছে এই রেকর্ড। ভারতের রোহিত শর্মা একাই তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন এই ফরম্যাটে। শেষ পর্যন্ত নতুন বিশ্বরেকর্ড হয়ে যায় ২০১৪ সালে। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর কলকতার ইডেন গার্ডেন্সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৪ রান করে রোহিত শর্মা নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যে, আর কেউ কখনো সেই রেকর্ড ভাঙতে পারবে কিনা- তা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়। তবে এখন সাদা বলের ক্রিকেট যেভাবে বোলারদের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠছে, তাতে হয়তো কোনোদিন রোহিত শর্মার রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে।

মন্তব্য করুন: