ভুয়া সংবাদের জেরে তরুণীর আত্মহনন, মিডিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ নেইমার

২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ভুয়া সংবাদের জেরে তরুণীর আত্মহনন, মিডিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ নেইমার

ব্রাজিলের গণমাধ্যমে এক তরুণীর ভুয়া প্রেমের গল্প প্রচার হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে। নিজেকে নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ সহ্য করতে না পেরে সেই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে ব্রাজিলে। চুপ থাকেননি ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারও। নিজের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।

সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও কৌতুক অভিনেতা হুইন্দেরসন নুনেসের সঙ্গে জেসিকা কানেদো নামে এক শিক্ষার্থীর কথোপকথন দাবিতে কিছু স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। কোনো যাচাই বাছাই ছাড়া সেসব স্ক্রিনশটের ওপর ভিত্তি করেই ব্রাজিলের কিছু গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ব্রাজিলের বিনোদন সাংবাদিক রাফায়েল সুসা অলিভেইরা বিষয়টি নিয়ে তার ইনস্টাগ্রাম ও এক্স অ্যাকাউন্টে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন। 

হুইন্দেরসন নুনেস এবং জেসিকা কানেদো। ছবি: টুইটার

শুরু থেকেই এই প্রেমের গুজব অস্বীকার করে আসছিলেন কৌতুক অভিনেতা হুইন্দেরসন এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জেসিকা। দুজনেই জানান, প্রেম তো দূরের কথা, তাদের কখনো দেখাও হয়নি। এরপরও থামেনি ব্রাজিলের কিছু মিডিয়া। তারা সংবাদ প্রকাশ করে যেতে থাকে। যা সহ্য করতে না পেরে ২২ বছর বয়সী জেসিকা গত শনিবার আত্মহত্যা করেন। ব্রাজিলের পুলিশ জেসিকার মৃত্যুকে সম্ভাব্য আত্মহত্যার মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে।

 

 

এই ঘটনায় ব্রাজিলের সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। যা পৌঁছে গেছে নেইমারের কানে। এরপরই চোটাক্রান্ত নেইমার মিডিয়ার ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আল হিলালের এই তারকা লিখেছেন, “বিভিন্ন গসিপ সাইট, টিভি নেটওয়ার্ক এবং সব ধরনের মিডিয়াকে সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে আরও সচেতন হওয়া উচিত। বিদ্বেষীদের উদ্দেশে বলছি… তোমরা যারা ঘৃণা ছড়াও, যারা নিজের সবজান্তা ও সত্যের অধিকারী মনে কর, যারা সাধু সেজে থাক, যেন কখনো ভুল কর না; তাদের অভিনন্দন! তোমরা আরও একজনকে শিকার করলে!”

ভুল সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নেইমার আরও লিখেছেন, “তোমরা যা প্রকাশ কর, সেসব নিয়ে আরও সাবধান হওয়া উচিত। আমি সত্যিই সেসব মানুষকে ঘৃণা করি, যারা নিজের পরিচয়ের আড়ালে অন্য কারও সম্পর্কে বাজে কথা বলে। (সত্যতা যাচাই না করেই) সবার আগে সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা কারও জীবন শেষ করে দিতে পারে। সবাই মানসিকভাবে শক্ত নয়।”

মন্তব্য করুন: