শেষ বিকেলের ব্যাটিং ধসে বড় লিডের আশা শেষ বাংলাদেশের

২৯ এপ্রিল ২০২৫

শেষ বিকেলের ব্যাটিং ধসে বড় লিডের আশা শেষ বাংলাদেশের

সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে বড় লিড নেওয়ার ভালো ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে সে পথেই ছিল তারা। কিন্তু শেষ বিকেলের ব্যাটিং ধসে দিনটা নিজেদের করে নিতে পারল না স্বাগতিকরা। ৬৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে শান্তর দল।

চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় শেষ টেস্টে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ উইকেটে ২৯১ রান। ১৬ রান নিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ রান নিয়ে তাইজুল ইসলাম ক্রিজে আছেন।

তৃতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৬ রান তুলতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে তাদের ২২৭ রানে গুটিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। মুজারাবানিকে কট বিহাইন্ড করিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ শিকারটি ধরেন।

এরপর এনামুল হক বিজয় সাদমানের কল্যাণে প্রায় আড়াই বছর পর টেস্টে শতরানের উদ্বোধনী জুটির দেখা পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে সবশেষ শতরানের জুটিটি এসেছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ভারতের বিপক্ষে একই মাঠে সেবার ১২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন শান্ত জাকির হাসান। এরপর মাঝের ৩২ ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি আসে মাত্র দুটি।

তবে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর ষষ্ঠ ওভারে মুজারাবানির বলে বিজয় (৩৯) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে উদ্বোধনী জুটিটি থামে ১১৮ রানে। এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করেন সাদমান মুমিনুল হক।

রিচার্ড এনগাভারার ওভারে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৪২ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আগের শতকটি হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

চা বিরতির আগে পরপর দুই বলে মুমিনুল সাদমানকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে বাংলাদেশ। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড-উইকেটে ক্যাচ দেন মুমিনুল (৩৩) শেষ হয় দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি। পরের ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাদমান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ফেরেন ১২০ রান করে।

তবে শান্ত মুশফিক সেই চাপ কাটিয়ে লিড বাড়াতে থাকেন। কিন্তু তারা বেশি দূর এগুতে পারেননি। অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে শান্ত (২৩) সাজঘরে ফিরলে ৬৫ রানের জুটি ভাঙে। এরপরই ধস নামে ব্যাটিংয়ে।

খানিকবাদেই মাসেকেসার হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকের আলী () দীর্ঘদিন পর রানে ফেরা মুশফিকও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। মিড-অনে বল ঠেলে দিয়ে দ্রুত রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন ৪০ রান করা এই ব্যাটার।

এরপর মাসেকেসার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নাঈম হাসান। ২০ রানের ভেতর উইকেট হারানোর পর তাইজুল নিয়ে আর কোনো বিপদ না বাড়িয়ে বাকিটা সময় কোনো কাটিয়ে দেন মিরাজ।

মন্তব্য করুন: