পিএসজির বিদায়ের দায় নিজ কাঁধে নিলেন এমবাপ্পে

পিএসজির বিদায়ের দায় নিজ কাঁধে নিলেন এমবাপ্পে

দল জিতলে প্রায় সব কৃতিত্বই পেয়ে থাকেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবার হারের দায়টাও নিজ কাঁধে টেনে নিয়েছেন এই ফরাসি তারকা। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে পিএসজি। আর এই হারের দায় নিজের দিকে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সবচেয়ে বড় তারকা জানিয়েছেন, দলের জন্য তিনি নিজের সেরাটা দিতে পারেননি।   

প্রথম লেগ ১-০ গোলে হারায় মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দৃঢ়তা ও ভাগ্যের সহায়তা না থাকায় তারা গোলের দেখা পায়নি। এর মাঝে ৬০তম মিনিটে মাটস হুমেলসের গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। এরপরে ম্যাচে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১১ বছর ইউরোপ সেরার আসরের ফাইনালে ওঠে জার্মান ক্লাবটি।

এদিন পুরো ম্যাচে বেশ নিষ্প্রভ থাকা এমবাপ্পে শেষ দিকে দুটি সুযোগ পেয়েও দলকে ম্যাচে ফেরাতে ব্যর্থ হন। ৮১তম মিনিটে তার কাছ থেকে নেওয়া শট ঠেকাতে সহজেই ঠেকিয়ে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষকক। এরপর ৮৭তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার প্রচেষ্টা গোলরক্ষের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে।

তাই হয়তো ম্যাচ শেষে দলের হারের পুরো দায়টা নিজের কাঁধে নিয়ে এমবাপ্পে বলেন, “নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যথেষ্ট করতে পারিনি। আমিই সেই ব্যক্তি যার গোল করা উচিত। ম্যাচে পার্থক্য গড়া উচিত। যখন সবকিছু ভালো থাকে, সব আলো আমার ওপরই থাকে, যখন দিন খারাপ যায় দায়টাও নিজেকে নিতে হবে। এটা কোনো সমস্যা নয়।”

চলতি মৌসুম শেষে আগেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া এমবাপ্পে দলকে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতিয়ে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। তবে তা না হওয়ায় সবকিছু ভুলে এখন সামনে এগিয়ে যেতে চান এই ফরাসি তারকা।

“আজ (মঙ্গলবার) রাতে প্রথম যার গোল করা উচিত ছিল, সেটি আমি। এটাই জীবন, আমাকে ও দলকে সবকিছু ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।”

ম্যাচে পিএসজির মোট চারটি শট পোস্ট ও ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। নিজেদের দখলে বল রাখে প্রায় ৭০ শতাংশ। তবে এরপরও জয়টা সেই ডর্টমুন্ডের। এমবাপ্পে এখানে ভাগ্যের কোনো দোষ দেখেন না।

“চ্যাম্পিয়নস লিগের এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বক্সের ভেতর আপনি যখন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবেন না তখন পরের ধাপে যাওয়া বেশ কঠিন। বিষয়টি যখন ফাইনালে যাওয়ার তখন তা আরও কঠিন। আমার মতে, বক্সে তারা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। আমরা ওদের পাশে অনেকবারই গিয়েছি। তবে গোল করতে পারিনি। এটাই সত্য। দুর্ভাগা কি না সে বিষয়ে আমি কথা বলতে পছন্দ করি না। আমরা আজ যথেষ্ট ছিলাম না, বিশেষ করে আক্রমণভাগে খেলা ফুটবলাররা।”

মন্তব্য করুন: