ক্যারির সেঞ্চুরির কথা জানাই ছিল না কামিন্সের

১১ মার্চ ২০২৪

ক্যারির সেঞ্চুরির কথা জানাই ছিল না কামিন্সের

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারির দুর্দান্ত এক জুটিতে নিউ জিল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ৮০ রান করে মার্শ ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ক্যারি। তবে দল জিতলেও হয়তো কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেছে উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারের। বাঁহাতি এই ব্যাটার সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে চার মেরে দলকে জিতিয়েছেন প্যাট কামিন্স। তবে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের দাবি, ক্যারির সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকার বিষয়টি তার জানা ছিল না।

সোমবার হ্যাগলি ওভালে চতুর্থ দিন ক্যারি যখন ক্রিজে আসেন তখন দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৮০ রান। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে পাল্টা আক্রমণে মার্শকে নিয়ে গড়েন জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া ১৪০ রানের জুটি। বেন সিয়ার্সের পরপর দুই বলে মার্শ ও মিচেল স্টার্ক ফিরলেও অধিনায়ক কামিন্সকে নিয়ে ম্যাচ জেতানোর পথে ক্যারি অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে।

সিয়ার্সের করা ৬৫তম ওভারের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য দরকার ছিল ৭ রানের। স্ট্রাইকে থাকা ক্যারি ছিলেন ৯৩ রানে। ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জোরালো করেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন কামিন্সকে। পরের তিন বলে কামিন্স কোনো রান না নিলেও ওভারের শেষ বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

দারুণ ইনিংস খেলা ক্যারিকে সেঞ্চুরির সুযোগ না দিয়ে ম্যাচ জেতানোয় অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে অজি অধিনায়ককে নিয়ে কিছুটা সমালোচনাও হচ্ছে। সঙ্গে অনেকে আক্ষেপ করছেন ক্যারির সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে। কিন্তু কামিন্সের দাবিটা ভিন্ন। তার মতে, অপর প্রান্তে থাকা ক্যারি যে ৯৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন তা তিনি জানতেন না।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কামিন্স বলেন, “আমি জানতামই না যে তার রান তখন ৯৮! (সেঞ্চুরির পর) সে যদি উদযাপন করত এবং আমি খেয়াল করলাম না সেটি বেশ বিব্রতকর হতো।”

সেঞ্চুরি না পেলেও ম্যাচে উইকেটের পেছনে ১০টি ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি ১৫ চারে ১২৩ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ক্যারি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে কোনো আক্ষেপ না থাকার কথা জানান ক্যারি। আবার স্ট্রাইকে যেতে চাননি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা নিয়েই সন্তুষ্ট। আবারও স্ট্রাইকে যেতে চাইনি।”

মন্তব্য করুন: