টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নয়, শান্তর দুশ্চিন্তা ডেথ ওভারের বোলিং

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নয়, শান্তর দুশ্চিন্তা ডেথ ওভারের বোলিং

খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু কাটছে না টপ অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তা। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে লিটন দাস আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে স্কোর যতটা বড় হওয়া উচিত ছিল, ততটা হয়নি। তাই মঙ্গলবার তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে অনেকটা হারতে হারতেই ৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ।

টি-টুয়েন্টিতে নাজমুল হোসেন শান্তকে দেখা যাচ্ছে ওয়ানডে মেজাজে। চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে জিম্বাবুয়ের মতো সাদামাটা বোলিং লাইনআপের সামনে শান্তর এই মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। কারণ, টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আর একমাসও নেই। মঙ্গলবার শান্ত দৃষ্টিকটুভাবে বোল্ড হয়েছেন ৪ বলে ৬ রান করে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তার বদলে অধিনায়ক শান্ত কথা বলেছেন ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে।

“ছেলেরা তাদের সেরাটা দেখিয়েছে। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে হৃদয় আর জাকেরের ব্যাটিং দারুণ ছিল। তাদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। তবে ডেথ ওভারে আমাদের বোলিং নিয়ে ভাবনার অবকাশ আছে। আমাদেরকে পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। শেষ পাঁচ ওভারে আমরা ভালো বোলিং করিনি। এই জায়গায় আরও উন্নতি করতে হবে। এখন পরবর্তী ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। আশা করি ভুল শুধরে শক্তিশালী হয়ে ফিরব।”

বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেট তাড়ায় ১৪.১ ওভারে ৯১ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে মিডিয়াম পেসার ফারাজ আকরাম আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে তারা ১৫৬ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে। সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের শেষ তিন বলে প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের, যেটা মোটেও অসম্ভব ছিল না। ৩ উইকেট নেওয়া সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে দেন ৪২ রান। রিশাদও দিয়েছেন ৩ ওভারে ৩৮।

মন্তব্য করুন: