প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে কেপ ভার্দে
১৪ অক্টোবর ২০২৫
পশ্চিম আফ্রিকার প্রায় ৬ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র কেপ ভার্দে ২৫ বছর আগেও নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলতো না। অথচ তারাই আটবার বিশ্বকাপে খেলা ক্যামেরুনকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ২০২৬ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই করেছে!
সোমবার আফ্রিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠ রাজধানী প্রাইয়াতে এসওয়াতিনিকে ৩-০ গোলে হারায় কেপ ভার্দে। ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসরের টিকিট পায় তারা।
১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ২৩ পয়েন্ট কেপ ভার্দের। ‘ডি’ গ্রুপে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ আটবার বিশ্বকাপ খেলা ক্যামেরুন ৫ জয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করেছে। নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা অ্যাঙ্গোলার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে।
তবে মূলপর্বে খেলার সুযোগ এখনও পেতে পারে ক্যামেরুন। আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে নয়টি গ্রুপের মধ্যে সেরা চার রানার্স-আপ দলের ভেতর থাকলে প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে তারা। প্লেঅফ থেকে জয়ী একটি দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।
গত মাসে ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারানোর পর বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল হয় কেপ ভার্দের। শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই পেয়ে যেত মূল মঞ্চের টিকিট। গত বুধবার লিবিয়ার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করার পর এবার ঘরের মাঠে এসওয়াতিনিকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল তারা।
জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাওয়া দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ কেপ ভার্দে। আইসল্যান্ড জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল।
১৯৮৬ সালে ফিফায় যোগ দেওয়া কেপ ভার্দে ১৯৯০ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছিল। তখন তাদের র্যাঙ্কিং ছিল ১৮২তম। বর্তমানে তাদের র্যাঙ্কিং ৭০তম। ২০১৪ সালে তারা উঠেছিল ২৭ নম্বরে।
২০১৩ সালে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) নিজেদের অভিষেক আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলেছিল দেশটি। ২০২৩ সালেও আসে একই সাফল্য। তবে কোত দে ভোয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের।















মন্তব্য করুন: