সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও

১৯ নভেম্বর ২০২৫

সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও

২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে কুরাসাও। সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্যারিবিয়ান সাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটি।

কনক্যাকাফ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসরের টিকিট পায় কুরাসাও।

বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে কেবল ১ পয়েন্টের দরকার ছিল তাদের। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালের ম্যাচটিতে গোলশূন্য ড্র করে সেই পয়েন্ট আদায় করে নেয় দেশটি।

গত জানুয়ারিতে কুরাসাওয়ের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার দেশটির জনসংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার।

এর আগে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে অংশগ্রহণের রেকর্ড ছিল আইসল্যান্ডের। ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলেছিল সাড়ে তিন লাখ জনসংখ্যার দেশটি।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ৮২ নম্বরে আছে কুরাসাও।

ছয় ম্যাচের তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত থেকে বাছাইপর্ব শেষ করে দেশটি। গত ম্যাচে বারমুডাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে তারা। গ্রুপে ছিল আগে বিশ্বকাপ খেলা জ্যামাইকা ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো।

কুরাসাওয়ের কোচ হিসেবে আছেন ডিক আডভোকাট। ৪৫ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে নিজ দেশ নেদারল্যান্ডসে তিন দফায় কোচিং করানোসহ বেলজিয়াম, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার দায়িত্বে ছিলেন ৭৮ বছর বয়সী এই কোচ।

কুরাসাওয়ের সঙ্গে এ দিন এই অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে হাইতি ও পানামা। এদের মধ্যে ৫২ বছর বিশ্বকাপ খেলবে হাইতি। এর আগে একবারই ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ খেলেছিল দেশটি। আর পানামা নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ খেলেছিল ২০১৮ সালে।

মন্তব্য করুন: