বিশ্বকাপে খেলতে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে হবে নেইমারকে

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্বকাপে খেলতে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে হবে নেইমারকে

প্রায় দুই বছর আগে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। এরপর কখনও চোট আবার কখনও ফিটনেসজনিত কারণে হলুদ জার্সিতে তার আর মাঠে নামা হয়নি। তবে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে কার্লো আনচেলত্তির দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। তবে এজন্য তাকে আগে ভালো শারীরিক অবস্থায় থাকার প্রমাণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিল কোচ।

ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার (৭৯ গোল) জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। উরুগুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বাঁ হাঁটুর মারাত্মক চোটে পড়ার পর প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাকে।

৩৩ বছর বয়সী বার্সেলোনা পিএসজির সাবেক এই ফরোয়ার্ড গত জানুয়ারিতে আল-হিলাল ছেড়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরার পর থেকেও চোটের সমস্যায় আছেন। কারণে গত মে মাসে আনচেলত্তি ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনও স্কোয়াডে জায়গা পাননি তিনি।

অবশ্য নেইমারের দাবি, সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুটি ম্যাচের জন্য তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল দলের কৌশলগত কারণে, তার ফিটনেসের জন্য নয়। কোচের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

তবে ইএসপিএন ব্রাজিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনচেলত্তি পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ দলে নেইমারের জায়গা নির্ভর করছে তার ফিটনেসের ওপর, প্রতিভার ওপর নয়।

নেইমার কেমন খেলে আমরা সেটা দেখতে যাচ্ছি না, সবাই জানে তার প্রতিভা। আধুনিক ফুটবলে তার প্রতিভা কাজে লাগাতে হলে তাকে শারীরিকভাবে ভালো অবস্থায় থাকতে হবে। যদি সে সেরা ফিটনেসে থাকে, জাতীয় দলে তার জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

সবাই চায় নেইমার জাতীয় দলে থাকুক সেরা শারীরিক অবস্থায়। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, এবং বলেছিবিশ্বকাপে থাকতে হলে তোমার হাতে সময় আছে, সর্বোত্তমভাবে প্রস্তুতি নাও এবং দলকে সাহায্য করো।’”

নেইমার আগে উইঙ্গার সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড দুই ভূমিকাতেই খেলেছেন। তবে আনচেলত্তির মতে, তিনি এখন আর উইংয়ে খেলার মতো শারীরিক সামর্থ্য রাখেন না।

গত জুনে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সে হোটেলে এসেছিল এবং আমরা বিষয়ে কথা বলেছি। সব পরিষ্কার, পরিকল্পনা একই রকম আছে। আমি তাকে দলে নেব আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বা স্ট্রাইকার হিসেবে। তাকে কেন্দ্রে খেলতে হবে, এর বাইরে সে খেলতে পারবে না। কারণ আধুনিক ফুটবলে এমন ফরোয়ার্ড প্রয়োজন যাদের শারীরিক গুণ রয়েছে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে অনায়াসেই খেলতে পারবে।

গত জুনে ব্রাজিল ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করলেও বাছাইপর্ব শেষ করেছে হতাশাজনকভাবে। নিজেদের শেষ ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বলিভিয়ার কাছে - গোলে হেরে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে পঞ্চম স্থানে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করেছে।

মন্তব্য করুন: