সূর্যবংশীর বিশ্বরেকর্ড, সাকিবুলের ৩২ বলে সেঞ্চুরি, ৫০ ওভারে ৫৭৪ রান

২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

সূর্যবংশীর বিশ্বরেকর্ড, সাকিবুলের ৩২ বলে সেঞ্চুরি, ৫০ ওভারে ৫৭৪ রান

বৈভব সূর্যবংশী (বাঁয়ে) ও সাকিবুল গনি (ডানে)

বিজয় হাজারে ট্রফির উদ্বোধনী দিনেই ছেলেদের লিস্ট-এ ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলটপালট করে দিয়েছে বিহারের ক্রিকেটাররা। বৈভব সূর্যবংশী সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির পর হাঁকিয়েছেন দ্রুততম দেড়শ। এরপর ভারতীয়দের মধ্যে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েছেন সাকিবুল গণি। তাদের তাণ্ডবে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার পাশাপাশি হয়েছে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডও!

বুধবার রাঁচিতে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে প্লেট গ্রুপের ম্যাচে এই রেকর্ডগুলো করেছে বিহারের ক্রিকেটাররা, যার শুরুটা করেন সূর্যবংশী। ১৪ বছর ২৭২ দিন বয়সে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে ছেলেদের লিস্ট-এ ক্রিকেটে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকানোর বিশ্বরেকর্ড গড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। ভেঙে দিয়েছেন ১৯৮৬ সালে ১৫ বছর ২০৯ দিন বয়সে সেঞ্চুরি হাঁকানো তারই স্বদেশি জহুর এলাহির রেকর্ড।

৩৬ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানো সূর্যবংশী সেখানেই থামেননি। এরপর ভেঙে দেন এবি ডি ভিলিয়ার্সের দ্রুততম দেড়শ রানের ইনিংসের রেকর্ডও। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৫ বলে ১৫০ রান ছুঁয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি। তাকে ছাঁড়িয়ে যেতে সূর্যবংশী খেলেন ৫৯ বল। শেষ পর্যন্ত তার ৮৪ বলের ইনিংসটি থামে ১৯০ রানে। ১৬টি চারের সঙ্গে হাঁকান ১৫টি ছক্কা।

পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ বলে সেঞ্চুরি করেন বিহার অধিনায়ক সাকিবুল, যা ভারতীয়দের মধ্যে লিস্ট-এ ক্রিকেটে দ্রুততম। আগের রেকর্ডটি ছিল পাঞ্জাবের আনমোলপ্রিত সিংয়ের। ২০২৪ সালে অরুণাচলের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

সাকিবুলের এই সেঞ্চুরিটি লিস্ট-এ ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ২০২৩ সালে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ২৯ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান এই ওপেনার। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করা ডি ভিলিয়ার্স।

সূর্যবংশী (১৯০) ও সাকিবুলের (১২৪*) তাণ্ডবের সঙ্গে আয়ুশ লোহারুকার (১১৬) সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৭৪ রান তোলে বিহার। লিস্ট-এ ক্রিকেট ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০২২ সালে অরুণাচলের বিপক্ষেই ২ উইকেটে ৫০৬ রান করেছিল তামিলনাড়ু। ছেলেদের লিস্ট-এ ক্রিকেটে ৫০০ ছোঁয়া ইনিংস কেবল এই দুই দলই করেছে।

রেকর্ড গড়া ইনিংসের পথে ৩৮টি ছক্কা হাঁকায় বিহার, যা ছেলেদের লিস্ট-এ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছিল কানাডা।

সূর্যবংশীর ১৫টি ছক্কার পাশাপাশি সাকিবুল হাঁকান ১২টি। ছেলেদের লিস্ট-এ ক্রিকেটে এক ইনিংসে দুই ব্যাটারের ১০ বা তার বেশি ছক্কা হাঁকানোর ঘটনা এটিই প্রথম।

মন্তব্য করুন: