বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রবল চাপে নিউ জিল্যান্ড

১ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রবল চাপে নিউ জিল্যান্ড

ব্যাট হাতে শক্তিশালী ভিত গড়ার পর বল হাতেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ। সিলেট টেস্ট জয়ের লক্ষ্যে রান পাহাড় তাড়ায় নেমে নিউ জিল্যান্ড এখন প্রবল চাপে। চার বিরতির আগেই ৩০ রানে তাদের ৩ উইকেট পড়ে গেছে। জয়ের জন্য বাকি চার সেশনে তাদের প্রয়োজন আরও ২৯২ রান।

৩৩২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে টম ল্যাথাম (০) ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে। দশম ওভারের শেষ বলে মহাগুরুত্বপূ্র্ণ ব্রেক থ্রু দেন তাইজুল। ১১ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কেইন উইলিয়ামসন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হেনরি নিকোলাস (২) ক্যাচ দিলে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারায় কিউইরা।

এর আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ৩৩৮ রানে। শুক্রবার চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের শুরু হয়েছিল ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে। সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৫ রান করে টিম সাউদির করা দিনের দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে যান। তার ১৯৮ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি বাউন্ডারি। ৭৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন মুশফিকুর রহিম। অভিষিক্ত শাহাদাত ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে ইশ সোধির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। অভিজ্ঞ মুশফিকও তার দারুণ ইনিংসটা তিন অংকে নিতে পারেননি। সোধির বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে করেন ১১৬ বলে ৭ চারে ৬৭ রান।

নুরুল হাসান সোহানকে (১০) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন গ্লেন ফিলিপস। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই বাংলাদেশের লিড তিনশ ছাড়িয়ে যায়। বিরতির পর মাত্র ৬ ওভার ৪ বল স্থায়ী হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। এর মাঝেই ৭৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫০ রানেই অপরাজিত থাকেন। শরীফুল ইসলামের (১০) সঙ্গে শেষ উইকেটে তার ২২ বলে ২৬ রানের জুটি ছিল দারুণ কার্যকর। শরীফুলের বিদায়েই ৩৩৮ রানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়। কিউইদের হয়ে ৩৬.৪ ওভার বল করে ১৪৮ রানে আজাজ প্যাটেল নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি নিয়েছেন অপর স্পিনার ইশ সোধি।

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অল-আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৩১৭ রানে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়।

মন্তব্য করুন: