মার্শ-ক্যারির নৈপুণ্যে বাড়ল নিউ জিল্যান্ডের ৩১ বছরের আক্ষেপ

১১ মার্চ ২০২৪

মার্শ-ক্যারির নৈপুণ্যে বাড়ল নিউ জিল্যান্ডের ৩১ বছরের আক্ষেপ

ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৩১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে আবার টেস্ট জয়ের জন্য ভালো এক অবস্থানেই ছিল নিউ জিল্যান্ড। চতুর্থ দিনের শুরুতেই ট্র্যাভিস হেডের উইকেট তুলে নিয়ে সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো করেছিলেন অধিনায়ক টিম সাউদি। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারির দুর্দান্ত এক জুটি তা আর হতে দেয়নি। ৩ উইকেটের জয়ে ১৯৯৩ সালের মার্চ থেকে সাদা পোশাকে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।

বৃষ্টির কারণে সোমবার হ্যাগলি ওভালে প্রায় ঘণ্টা খানেক দেরিতে দিনের খেলা শুরু হয়আগের দিন ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানো অজিদের খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টায় থাকায় হেড (১৮) এদিন সাজঘরে ফেরেন দ্বিতীয় ওভারেই। সাউদির বলে বাঁহাতি এই ব্যাটার আউট হলে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে পরে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মার্শ ও ক্যারির পাল্টা আক্রমণে সফরকারীরা সেই চাপ দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠে।

ষষ্ঠ উইকেটে মার্শ-ক্যারির ১৪০ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়াআগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এই দুই ব্যাটার মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত দলের খাতায় ৯৪ রান যোগ করেন। ৬৪ বলে মার্শ এবং ৬০ বলে ফিফটি তুলে নেন ক্যারি। বিরতির পরও বোলারদের সামলে দলকে জয়ের পথেই রাখেন মার্শ ও ক্যারি। কিন্তু ইনিংসের ৫৫তম ওভারে প্যাট কামিন্সের দলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান বেন সিয়ার্স। ওভারের দ্বিতীয় বলে ১০ চার ও ছক্কায় ১০২ বলে ৮০ রান করা মার্শকে ফিরিয়ে অভিষিক্ত এই পেসার ১৪০ রানের জুটি ভাঙেন। পরের বলেই তিনি তুলে নেন মিচেল স্টার্কের উইকেটও।

জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার তখনও প্রয়োজন ৫৯ রান আর নিউ জিল্যান্ডের ৩ উইকেট। তবে স্বাগতিকদের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে অধিনায়ক কামিন্সকে নিয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচের বাকি পথটুকু পাড়ি দেন ক্যারি। অষ্টম উইকেটে ৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন। সেঞ্চুরি হাঁকানোর সম্ভাবনা জাগিয়ে ম্যাচসেরা ক্যারি অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে। অন্যদিকে আরও একবার দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া কামিন্স অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। 

এর আগে সাউদি ও কেইন উইলিয়ামসনের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে জশ হ্যাজেলউড ও স্টার্কের বোলিং তোপে কেবল ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা। জবাবে ম্যাট হেনরির ৭ উইকেট শিকারে অজিদের ইনিংস থামে ২৫৬ রানে। ৯৪ রানে পিছিয়ে থাকা স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে টম ল্যাথাম (৭৩), উইলিয়ামসন (৫১), রাচিন রবীন্দ্র (৮২) ও ড্যারিল মিচেলের (৫৮) চার অর্ধ-শতকে তোলে ৩৭২ রান। ফলে সফরকারীদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৯ রানের।

মন্তব্য করুন: