আমার আউটেই আমরা হেরে গেছি: শান্ত
২৩ এপ্রিল ২০২৫

ভালো অবস্থানে থেকে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দলের উদ্দেশ ছিল চতুর্থ দিন জিম্বাবুয়েকে তিনশর কাছাকাছি লক্ষ্য দেওয়া। কিন্তু দিনের খেলার শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের কাছে সাড়ে ছয় বছর পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে হেরে সিরিজ শুরু করেছে তারা।
বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারায় জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি বাধার পর এক ঘণ্টার বেশি সময় পর মাঠে গড়ায় দিনের খেলা। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ দেখেন ৬০ রানে থাকা শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়কের বিদায়ের পর শেষ পাঁচ উইকেটে দলের খাতায় যোগ হয় মাত্র ৬১ রান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটিকেই টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করছেন শান্ত।
“আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। আমার মনে হয়, আমার আউটটা, পুরা খেলাটা… আমাদের ব্যাটিংটা নষ্ট করে ফেলেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, ওই মোমেন্টামটা ওরা পাওয়াতেই খেলাটা আমরা হেরে গেছি।”
“আজকের ম্যাচ নিয়ে যদি জিজ্ঞেস করেন পুরো ম্যাচটা আমি একা হারিয়ে দিয়েছি। সত্যি কথা। কারণ সকালে ওই আউটেই পুরো খেলা নষ্ট হয়েছে। সেখানে যদি একটা ৫০-৬০ রানের জুটি হত। ২২০+ রান হলে হয়ত ভালো একটা জায়গায় থাকতাম। পুরো ম্যাচে সবার দিকে যেতে চাই না। পুরো দায়ভারটা আমি নিতে চাই। খুব বাজে সময়ে আমি আউট হয়েছি।”
বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে গড়তে হতো নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। সে পথে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুতে জয়ের আশা বেশ ভালোভাবেই জেগেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত অতি নাটকীয় কিছু না হওয়ায় তা আর হয়নি।
অবশ্য শান্তর কাছে সেরকম কিছু মনে হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “না, আমার মনে হয় যে মিরাজ এবং তাইজুল ভাই ভালো চেষ্টা করেছে, অসম্ভব ভালো বোলিং করেছে। আমার মনে হয়, বোর্ডে এধরনের রান থাকার পরেও যেভাবে ওরা বল করেছে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। তবে আমার কাছে মনে হয় যে, বোর্ডে যথেষ্ট রান ছিল না।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। এছাড়াও চার বছর পর টেস্টে জয় পেল তারা। মাঝের ১০ ম্যাচে তারা ছিল জয়হীন। সম্প্রতি ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের কাছেও হেরেছে তারা। এরপরও অন্য সব ম্যাচগুলোতে হারলে যেমনটা লাগে, বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে এখনও তাই লাগছে।
“বেশি বলব না, যে কোনো ম্যাচ হারলে খারাপ লাগে। অবশ্যই আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা খেলতে পারিনি এটা আমি বিশ্বাস করি। কারণ আমার মনে হয় যে, আমরা এর থেকে ভালো ক্রিকেট খেলার মতো দল। এই জন্যই হতাশ। অনেক বেশি খারাপ লাগছে এই ম্যাচ হেরে জিনিসটা এরকম না। সাধারণত যেরকম ম্যাচ হারলে খারাপ লাগে, আজকেও খারাপই লাগছে।”
মন্তব্য করুন: