রেকর্ড গড়া জয়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউ জিল্যান্ড

রেকর্ড গড়া জয়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউ জিল্যান্ড

ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস ও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে আগের দিনই রান পাহাড়ে উঠেছিল নিউ জিল্যান্ড। তৃতীয় দিন আর ব্যাটিংয়ে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা। কিন্ত ব্যাট হাতে এক সেশনও টিকতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। অভিষিক্ত জ্যাকারি ফোকসের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস ও ৩৫৯ রানের রেকর্ড জয় পেয়েছে কিউইরা।

শনিবার বুলাওয়েয়োতে তৃতীয় দিন সকালে আর ব্যাটিংয়ে না নেমে ৩ উইকেটে ৬০১ রান ইনিংস ঘোষণা করে নিউ জিল্যান্ড। ৪৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বর্ধিত প্রথম সেশনে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

এটি নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। আগের রেকর্ডটিও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০১২ সালে নেপিয়ারে তাদের ইনিংস ও ৩০১ রানে হারিয়েছিল কিউইরা। এছাড়াও এটি জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়ও।

স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন-আপ ধসিয়ে ৫ উইকেট নেন ফোকস। আর এতেই নিউ জিল্যান্ডের জার্সিতে সাদা পোশাকের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৭৫ রানে ৯ উইকেট নিয়ে অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েন ডানহাতি এই পেসার। আগের রেকর্ডটি ছিল উইল ওরোর্কের। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যামিল্টনে নিজের প্রথম ম্যাচে ৯৩ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার।

ব্যাটিংয়ে নেমে কিউই পেস তোপে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ১১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও ব্রেন্ডন টেইলর। দুজনকেই তুলে নেন ম্যাট হেনরি।

শুরুর এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এরপর তিন অভিষিক্ত জ্যাকব ডাফি, ফোকস ও ম্যাথিউ ফিশারের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা নিক ওয়েলচ ও ১৭ রান করা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের দেখা পাননি। ২৮ ওভার ১ বলে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে হেনরি ও ফোকসের পেস তোপে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে কনওয়ের ১৫৩, নিকোলসের ১৫০* ও রবীন্দ্রর ১৬৫* রানের ইনিংসের সুবাদে রান পাহাড়ে ওঠে নিউ জিল্যান্ড।

প্রথম ম্যাচে কোনো মতে ইনিংস হার এড়িয়ে তৃতীয় দিনের চা বিরতির পর ৯ উইকেটে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। দুই ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন হেনরি।

মন্তব্য করুন: