ম্যাক্সওয়েলের নৈপুণ্যে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
১৬ আগস্ট ২০২৫

জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১২ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। তবে ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে রোমাঞ্চের আভাস দেন কর্বিন বশ। কিন্তু শেষ ওভারে নাটকীয় কিছু করে দেখাতে ব্যর্থ হন লুঙ্গি এনগিডি। ওভারের পঞ্চম বলে রিভার্স স্কুপে চার মেরে দলকে ২ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। একই সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার কেইর্নসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে ১৭২ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ো ফিফটিতে শেষ বলের আগের বলে লক্ষ্যে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।
ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে দলকে জিতিয়ে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। তার ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া ৩৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৮ চার ও ২ ছক্কায়। আর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তিন ম্যাচে ১৫০ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন টিম ডেভিড।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক এইডেন মারক্রামকে (১) তুলে নেন জশ হ্যাজেলউড। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস।
সপ্তম ওভারে ধুঁকতে থাকা আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটনকে (১৩) তুলে নেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এদিনও ট্রিস্ট্যান স্টাবসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। অ্যারন হার্ডির করা দশম ওভারে চারটি ছক্কায় ২৭ রান তুলে রানের গতি বাড়ানোর আভাস দেন তিনি। কিন্তু এক ওভার পর ৫৩ রান করা এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পর রানের গতি সেভাবে আর বাড়েনি।
শেষ পর্যন্ত রাসি ফন ডার ডুসেনের অপরাজিত ৩৮ রানে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। স্টাবস ফেরেন ২৫ রান করে। ন্যাথান এলিস নেন ৩ উইকেট, দুটি করে শিকার ধরেন হ্যাজেলউড ও জ্যাম্পা।
রান তাড়ায় এদিন শুরুটা ভালো হয় অস্ট্রেলিয়ার। আট ম্যাচ পর উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে পঞ্চাশ রান। তবে এই ম্যাচেও নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন ট্রাভিস হেড। বাঁহাতি এই ব্যাটার ১৮ বলে ১৯ রান করে ফিরলে ভাঙে ৬৬ রানের জুটিটি। প্রোটিয়া পেস তোপে এরপরই ধস নামে স্বাগতিক ব্যাটিং-অর্ডারে।
অধিনায়ক মার্শ ফেরেন ৫৪ রান করে। ঝড় তোলার আভাস দিলেও ডেভিড ফেরেন ১৭ রান করে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের দিকে নিতে থাকেন ম্যাক্সওয়েল। কাগিসো রাবাদার করা ১৮তম ওভারে ১৫ রান নিয়ে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ ফিফটি। ১৯তম ওভারের পুরোটা সময় ছিলেন ক্রিজের অপর প্রান্তে। এরপর শেষ ওভারে কোনো সিঙ্গেল না নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই অলরাউন্ডার।
মন্তব্য করুন: