ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ
৫ মে ২০২৫

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে যেন জিততেই ভুলে গেছে বাংলাদেশে। এর প্রভাব পড়েছে আইসিসির বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়েও। নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে এক ধাপ নিচে নেমে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সোমবার বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ের তালিকা প্রকাশ করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেখানে ৪ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তাদেরকে টপকে এক ধাপ উপরে উঠে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অন্যদিকে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টিতে আগের মতো ৯ নম্বরেই আছে বাংলাদেশ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে শান্তর দলের রেটিং পয়েন্ট ৬২। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে টাইগারদের রেটিং পয়েন্ট ২২৫।
র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদে ২০২৪ সালের মে মাস থেকে দলগুলোর ম্যাচগুলোকে ১০০ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আগের দুই বছরের অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোতে ৫০ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত এক বছরে ওয়ানডেতে হতশ্রী সময় পার করেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে খেলা ৮ ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে।
গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পরে শান্তর দল। তার আগে নভেম্বরে আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারে ২-১ ব্যবধানে। এরপর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তারা হোয়াইটওয়াশড হয়।
অন্যদিকে গত এক বছরে ৯ ওয়ানডে খেলে ৬টিতে জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেড়েছে ৫ রেটিং পয়েন্ট। ৪ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে নেমে গেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন্স ইংল্যান্ড। তাদেরকে টপকে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে সাতে উঠেছে আফগানিস্তান।
ওয়ানডেতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তোলা ভারত। রোহিত শর্মার দলের রেটিং পয়েন্ট ১২৪। ১০৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিউ জিল্যান্ড। সমান রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে ছয়বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
২৭১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টি-টুয়েন্টিতেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। দুই নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া (২৬২ রেটিং পয়েন্ট)। তৃতীয় স্থানে আছে ইংল্যান্ড (২৫৪ রেটিং পয়েন্ট)।
অন্যদিকে লাল বলের ক্রিকেটে ১২৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে প্যাট কামিন্সের দল। ১১৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে দুই নম্বরে আছে ইংল্যান্ড। এক ধাপ করে নিচে নেমে পরের দুটি অবস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা (তৃতীয়) ও ভারত (চতুর্থ)।
মন্তব্য করুন: