অ্যাথলেটিক্সে মেয়েদের ইভেন্টের জন্য জিন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক

অ্যাথলেটিক্সে মেয়েদের ইভেন্টের জন্য জিন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক

অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংভিত্তিক প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য অ্যাথলেটদের এখন থেকে একবারের জন্য নেওয়া জিন টেস্টে উতরাতে হবে। নারীদের ক্রীড়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা রক্ষার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস।

বুধবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, এখন থেকে মেয়েদের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে হলে অ্যাথলেটদের একবার এসআরওয়াই জিনের পরীক্ষা করাতে হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের জন্মগত লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয়।

এই পরীক্ষায় দেখা হবে একজন প্রতিযোগীর শরীরে এসআরওয়াই নামের একটি জিন আছে কি না। এই জিনটি কেবল পুরুষদের শরীরে থাকা ওয়াই ক্রোমোজমে থাকে। এই জিনের কারণেই পুরুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্য তৈরি হয়।

নারী বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য জন্মসূত্রে নারী হওয়া বাধ্যতামূলক। এই পরীক্ষায় বোঝা যাবে, অ্যাথলেটের শরীরে ওয়াই ক্রোমোজম আছে কি না। গালের ভেতর থেকে রস সংগ্রহ করে বা রক্তের নমুনা নিয়ে এসআরওয়াই জিন পরীক্ষাটি করা যায়।

জিন পরীক্ষার বিষয়টি সদস্য দেশগুলোর ফেডারেশনগুলো দেখভাল করবে। নতুন এই নিয়ম আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে। পরীক্ষার ফলের উপর ভিত্তি করে ১৩ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অ্যাথলেটরা অংশ নিতে পারবে।

নারী বিভাগে কে অংশ নিতে পারবেন, তা নিয়ে বহু বছর ধরে অ্যাথলেটিকস দুনিয়ায় বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে যেসব অ্যাথলেট ট্রান্সজেন্ডার বা যাদের জন্মগতভাবে লিঙ্গ বিকাশে ভিন্নতা (ডিএসডি) রয়েছে, তাদের শারীরিকভাবে সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এই আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।

যেসব ট্রান্সজেন্ডার নারী অ্যাথলেটের দেহে একসময় পুরুষদের মতো হরমোন উৎপাদন হয়েছে বা যারা পুরুষ হিসেবে বয়ঃসন্ধি অতিক্রম করেছেন – তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারীদের বিভাগে অংশগ্রহণ করা ২০২৩ সালের মার্চে নিষিদ্ধ করা হয়।

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Add