জঘন্য ব্যাটিংয়ে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
উড়ন্ত সূচনার পর হ্যারি টেক্টরের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ার শুরুতেই মারাত্মক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩৯ রানে হেরে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে লিটন দাসের দল।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৮১ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। জবাবে স্বাগতিকদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৪২ রানে।
ব্যাট হাতে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
চলতি বছর টি-টুয়েন্টিতে এটি আইরিশদের প্রথম জয়। আগের খেলা ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হেরেছিল তারা। বাকি দুটি শেষ হয়েছিল কোনো ফল ছাড়াই।
টি-টুয়েন্টি বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি আয়ারল্যান্ডের তৃতীয় জয়। ২০২৩ সালে একই ভেন্যুতে সবশেষ ম্যাচ জিতেছিল তারা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা একদমই বাজে হয় বাংলাদেশের। পাওয়ারপ্লেতেই স্বাগতিকরা হারায় শুরুর চার ব্যাটারকে। টাইমিংয়ে গড়বড় করে প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ দেখেন তানজিদ হাসান তামিম (২)। পরের ওভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন অধিনায়ক লিটন (১)। নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন পারভেজ হোসেন ইমনও (১)। পঞ্চম ওভারে দলের প্রথম বাউন্ডারি মারেন সাইফ হাসান। কিন্তু পরের ওভারেই বোল্ড হয়ে ১৩ বলে ৬ রান করে ফেরেন ছন্দে থাকা এই ব্যাটার।
এরপর তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের ব্যাটে জয়ের তেমন চেষ্টা দেখা যায়নি। ২০ রান করা জাকেরের বিদায়ে ভাঙে পঞ্চম উইকেটে ৫৮ রানের জুটিটি। পরের ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং-অর্ডার গুড়িয়েই দেন ম্যাথিউ হাম্ফ্রিস। বাঁহাতি এই স্পিনার প্রথম বলে ফেরান তানজিম হাসান সাকিবকে (৫)। চতুর্থ বলে রিশাদ হোসেনকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলার পরের বলে স্টাম্পিং করান নাসুম আহমেদকে।
নবম উইকেটে হৃদয় ও শরিফুল ইসলামের ৪৮ রানের জুটি কেবল ব্যবধানই কমায়। শেষ পর্যন্ত একপ্রান্তে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ডানহাতি এই ব্যাটার তার ৫০ বলের ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। ১৩ রানে ৪ উইকেট নেন হাম্ফ্রিস।
অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টরের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪০ রান। পঞ্চম ওভারে এই জুটি ভাঙেন তানজিম। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার পথে থাকা ১৯ বলে ৩২ রান করা টিম টেক্টরকে ফিরিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন রিশাদ।
৭১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আয়ারল্যান্ডের রানের লাগাম কিছুটা টেনে ধরেন বোলাররা। তবে চতুর্থ উইকেটে টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের ভিত পায় তারা। তানজিমের করা ১৮তম ওভারে ইমনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ক্যাম্ফারের (২৪) বিদায়ে ভাঙে ৪৪ রানের জুটি।
৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন টেক্টর। ডানহাতি এই ব্যাটার ৪৫ বলে ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকে। তার সহায়তায় শেষ পাঁচ ওভারে দলের খাতা যোগ হয় ৫৪ রান। ২ উইকেট নেন তানজিম। দলের একমাত্র বোলার হিসেবে ওভার প্রতি আটের নিচে রান দেন মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া বাঁহাতি এই পেসার কোনো উইকেট পাননি।
আগামী শনিবার একই ভেন্যুতে সিরিজের পরের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।















মন্তব্য করুন: