সাইফের ফিফটিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

৬ অক্টোবর ২০২৫

সাইফের ফিফটিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

আফগানিস্তানকে দেড়শর আগে আটকে অর্ধেক কাজটা করে দিয়েছিলেন বোলাররা। লক্ষ্য তাড়ায় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাকি কাজটুকু সারলেন সাইফ হাসান। ডানহাতি এই ব্যাটারের অপরাজিত ফিফটিতে ৬ উইকেটের জয়ে টি-টুয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ।

রোববার শারজায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। জবাবে দুই ওভার আগে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

টি-টুয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সিরিজ জয়। প্রথম জয়টি আসে দুই ম্যাচের সিরিজে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে, ঘরের মাঠে। দুটিতেই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা।

এটি বাংলাদেশের টানা চতুর্থ টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়। এর আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিকদের এবং ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জেতে তারা। 

৩৮ বলে ৭ ছক্কা ও ২ চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচসেরা হন সাইফ। বাঁহাতি স্পিনে ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নাসুম আহমেদ।

লক্ষ্য তাড়ায় আগের দুই ম্যাচের মতো এদিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। পারভেজ হোসেন ইমনের (১৪) বিদায়ে ২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দলের হাল ধরেন তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৫৫ রানের জুটি জয়ের ভিত অনেকটাই গড়ে দেয়। আগের বলে জীবন পাওয়া তানজিদ (৩৩) পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

এরপরের গল্পটা শুধু সাইফের। জাকের আলীসহ ১৩তম ওভারে ২২ রান নেন তিনি। তবে পরের ওভারে মুজিব উর রহমান পরপর দুই বলে অধিনায়ক জাকের (১০) ও শামীম হোসেনকে (০) তুলে নিলে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়ে দল। কিন্তু রশিদ খানের করা পরের ওভারটি মেডেন দিয়ে তা দূর করেন সাইফ।

১৬তম ওভারে মোহাম্মদ নবীর কাছে জীবন পেয়ে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতান নুরুল হাসান সোহান (১০*)।

এর আগে ২৪ রানের ভেতর দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান () রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (১২) তুলে নেয় বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আরেকটি উইকেট তুলে নিয়ে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৯ রান।

দারউইশ রাসুলিকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সেদিকউল্লাহ আতাল। ২৮ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ৩৪ রানের এই জুটি ভেঙে দলকে স্বস্তি এনে দেন সাইফউদ্দিন। পরের ২৫ রান যোগ করতে আরও চার উইকেট তুলে নেন বোলাররা।

১৫তম ওভারে ৯৮ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিতে জুটি বাধেন রাসুলি মুজিব। তবে এক্ষেত্রে অবদান আছে ফিল্ডারদেরও। দলীয় ১১৭ রানে রাসুলির ক্যাচ ছাড়েন সাইফউদ্দিন। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে রাসুলিকে (৩২) ফিরিয়ে ২২ বলে ৩৪ রানের জুটিটি ভাঙেন তিনি। 

তানজিম হাসান সাকিবের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে মুজিবের ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন সোহান। শেষ পর্যন্ত মুজিব অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ২৩ রানে।

সাইফউদ্দিনের শিকার উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ তানজিম।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: