মিরাজ-হৃদয়ের ফিফটিতে বাংলাদেশের ২২১

৮ অক্টোবর ২০২৫

মিরাজ-হৃদয়ের ফিফটিতে বাংলাদেশের ২২১

দ্রুত তিন টপ-অর্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় এরপর লম্বা সময় উইকেট না হারালেও ছিল না রানের গতি। তবে ফিফটি হাঁকানোর পর এই দুই ব্যাটার বিদায় নিলে আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ২২ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে সফরকারীরা।

বুধবার আবু ধাবিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ বল আগে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২২১ রানে। ৪৮ ওভার ৫ বলের মধ্যে ১৬৯ বলে কোনো রানই নিতে পারেননি ব্যাটাররা।

ক্যারিয়ারের দশম ফিফটিতে হৃদয় ফেরেন ৮৫ বলে ৫৬ রান করে। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটিতে হাঁকানো মিরাজ থামেন ৮৭ বলে ৬০ রান করে।

ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারে জীবন পেলেও দুই বল পরে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম (১০)। এক ওভার পর সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তও (২)। দুটি উইকেটই নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

টি-টুয়েন্টিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ওয়ানডেতে অভিষেকের পর সাইফ হাসান ওপেনিংয়ে নেমে শুরুটাও করেন দারুণ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন ডানহাতি এই ব্যাটার। লং অফে রশিদ খান দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিলে থামে তার ২৬ রানের ইনিংসটি।

১২ ওভারের ভেতর ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন হৃদয় ও মিরাজ। কিন্তু আফগান স্পিন সামলে দৌড়ে রান নিতেও যেন হিমশিম খান তারা। ৭৫ বলে ৩ ছক্কা ও এক চারে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। মিরাজ অর্ধশতক স্পর্শ করেন ৭৪ বলে।

মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে হৃদয় রানআউটে কাটা পড়লে থামে ১৪২ বলে ১০১ রানের জুটিটি। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মিরাজও। রশিদের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

মিরাজকে তুলে নিয়ে প্রথম আফগান ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন রশিদ। এরপর জাকের আলী (১০) ও নুরুল হাসান সোহানকেও (৭) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই লেগস্পিনার।

শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব (১৭) ও তানভীর ইসলামের (১১) ব্যাটে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তিনটি করে উইকেট নেন ওমারজাই ও রশিদ।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: