‘রশিদকে খেলতে গিয়েই হেরেছে বাংলাদেশ’

১২ অক্টোবর ২০২৫

‘রশিদকে খেলতে গিয়েই হেরেছে বাংলাদেশ’

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আফগানিস্তানের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়ায় একসময় ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৯৯। পরের ১০ রান যোগ করতেই বাকি উইকেটগুলো হারিয়ে ফেলে তারা। মিডল-অর্ডারে এই ধস নামানোর কারিগর হলেন রশিদ খান। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের মতে, রশিদের বল নয়, বরং আফগান স্পিনারকে খেলতে গিয়ে ব্যাটিংয়ে এই ভরাডুবি হয়েছে দলের।

শনিবার আবু ধাবিতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮১ রানে ম্যাচ হেরে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন রশিদ। এটি ছিল এই লেগ স্পিনারের ষষ্ঠবারের মতো ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার।

ইনিংসের ১৭তম ওভারে তাওহিদ হৃদয়কে বোল্ড করে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন রশিদ। পরের কয়েক ওভারে শেষ পাঁচ উইকেটের মধ্যে চারটি তুলে নেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক বলেন, রশিদের ধারাবাহিক লাইন-লেন্থের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যাটারদের মানসিক দুর্বলতাই তার সফলতার বড় কারণ।

আমার মনে হয়, তারা রশিদকে খেলছে, বলকে নয়। রশিদ কিন্তু বল খুব বেশি ঘোরায় না। তবে সে খুব অভিজ্ঞ, উইকেট টেকার। তার লাইন-লেন্থ খুব ধারাবাহিক। কিন্তু আমাদের উচিত বলটাকে খেলা, বোলারকে নয়। এই জিনিসটা আমাদের দ্রুত ঠিক করতে হবে।

যার মানসিক দৃঢ়তা আছে, সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো বোলারকে খেলতে পারে। রশিদ বহু বছর ধরে সফল, কিন্তু একই সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের বোঝা উচিত, কীভাবে বলটা খেলতে হয়, বোলারকে নয়।

বাংলাদেশ ব্যাটারদের বিশেষ করে ইনিংসের মাঝের ওভারে ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুশতাক। চলতি সিরিজে মাঝের ১১-৪০ ওভারে ১৮ দশমিক ৭০ গড়ে রান তুলেছে বাংলাদেশ, যেখানে আফগানিস্তানের গড় ২৯.৩৭। দুই দলই এই সময়ে রান তুলছে ওভারপ্রতি চার রানেরও নিচে। কিন্তু পার্থক্যটা ধৈর্য আর স্পিন মোকাবিলায় সক্ষমতায়।

বাস্তবতা হলো আমাদের ব্যাটিং গুছিয়ে নিতে হবে। তারা ভালো খেলোয়াড়, ব্যাট করতে পারে। কিন্তু রশিদের মতো পরিণত ও অভিজ্ঞ স্পিনারদের বিপক্ষে ওই পরিস্থিতিতে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আমরা যদি মাঝের ওভারগুলোতে স্পিন ভালোভাবে খেলতে পারি, আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশ যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে।

হোয়াইটওয়াশড হওয়া এড়াতে আগামী মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন: