জঘন্য ব্যাটিংয়ে হোয়াইটওয়াশডই হলো বাংলাদেশ
১৫ অক্টোবর ২০২৫

মোহাম্মদ নবীর শেষের ঝড়ে তিনশর কাছাকাছি সংগ্রহ গড়েছিল আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় সাইফ হাসানের ব্যাটে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই ওপেনারের বিদায়ের পর অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে একশর আগেই গুটিয়ে গেছে তারা। ২০০ রানের হারে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
মঙ্গলবার আবু ধাবিতে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ২৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ২২ ওভার ৫ বল আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
গত ম্যাচে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে অলআউট হয়েছিল মিরাজের দল। এবার সফরকারীরা কাবু হয়েছে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বিলাল সামির কাছে। ডানহাতি এই পেসার নিয়েছেন ৫ উইকেট। রশিদের শিকার ৩টি।
রানের হিসেবে এটি আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বড় জয়। গত বছর ডিসেম্বরে হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ২৩২ রানে হারিয়েছিল তারা।
ওয়ানডেতে এবারই প্রথম বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশড করলো আফগানরা। এর আগে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশড করেছিল টাইগাররা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে কেবল দুই অঙ্কের ছোঁয়া পেয়েছেন সাইফ। ৫৪ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৪৩ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। একাদশে ফেরা নাঈম শেখের সঙ্গে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তিনি। ধুঁকতে থাকা নাঈম ২৪ বলে ৭ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তও ছিলেন ব্যর্থ। ১৬ বলে ৩ রান করে সামির প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ম্যাচে রশিদের করা প্রথম বলেই বোল্ড হন তাওহিদ হৃদয় (৭)। দলীয় ৭০ রানে আগের ওভারে জীবন পাওয়া সাইফকেও বোল্ড করেন রশিদ। এরপর সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত।
অধিনায়ক মিরাজ ৬, শামীম হোসেন ০, নুরুল হাসান সোহান ২, রিশাদ হোসেন ৪, তানভীর ইসলাম ৫ ও হাসান মাহমুদ ৯ রান করে সাজঘরের পথ দেখেন। ২৮তম ওভারের প্রথম বলে হাসানকে তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইনিংসও গুটিয়ে দেন সামি। নাহিদ রানা অপরাজিত থাকেন ২ রানে।
এর আগে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ৯৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৩১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১৭৩ রান। তবে বল হাতে নিয়েই সেদিকউল্লাহ আতালকে (২৯) তুলে নিয়ে রানের লাগাম টেনে ধরতে শুরু করেন সাইফ। অফ স্পিনে এরপর তিনি আরও ২ উইকেট নেন।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে এগুতে থাকা জাদরান (৯৫) সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কমে আসে রানের গতি। তবে শেষ দুই ওভারে সব চিত্র ওলটপালট করে দেন নবী।
৪৯তম ওভার করতে আসা নাহিদ ২ বল করে ওভার শেষ না করে মাঠ ছাড়লে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। নবীর কাছে ৪ বলে ৩টি ছক্কা হজম করেন তিনি। হাসানের করা শেষ ওভারে ৩ চার ও এক ছক্কায় আরও ১৯ রান নেন নবী। শেষ দুই ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় ৪৪ রান। ৩৭ বলে ৫ ছক্কা ও ৪ চারে নবী অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: