সামাজিক মাধ্যমে ক্রিকেটারদের জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বললেন হেড কোচ
১৭ অক্টোবর ২০২৫

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সমর্থকদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সফর শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে একদল সমর্থকদের কাছে বিরূপ আচরণেরও মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে বিষয়গুলো নিয়ে ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলা উচিত নয় মনে করছেন হেড কোচ ফিল সিমন্স।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে হোয়াইটওয়াশড হয় বাংলাদেশ। গত বুধবার ক্রিকেটাররা দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পথে কিছু সমর্থকদের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েন নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদসহ দলের কয়েকজন ক্রিকেটার।
সেই ঘটনার পর একই রাতে ফেইসবুকে হতাশা প্রকাশ করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তোপের মুখে পড়েন নাঈম। হাসির রিয়্যাক্টের বন্যার পাশাপাশি বিরূপ মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়েছে বাঁহাতি এই ওপেনারকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরতেই সিমন্স বলেন, “আমি খুশি যে আপনি প্রসঙ্গটি তুলেছেন। প্রথমত বলতে চাই, সামাজিক মাধ্যমে কী হচ্ছে, এসব নিয়ে ক্রিকেটারদের কিছু করার আছে বলে আমি একদমই মনে করি না। ব্যক্তি হিসেবে সবারই অধিকার আছে সামাজিক মাধ্যমে যা ইচ্ছা বলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও জাতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আমার ক্রিকেটারদের অবশ্যই উচিত নয় এসবের জবাব দেওয়া।”
তবে এর মানে এই না যে, ক্রিকেটারদের প্রতি বর্ণবাদীমূলক মন্তব্য বা আচরণ করা যাবে – এটিও মনে করিয়ে দেন বাংলাদেশ কোচ। এক্ষেত্রে জাকের আলীর প্রতি বর্ণবাদমূলক নানা মন্তব্যের উদাহরণ তুলে ধরলেন কোচ।
“তবে একটি কথা বলতে চাই, ক্রিকেটারদের প্রতি কোনো ধরনের বর্ণবিদ্বেষী সুর কোনোভাবেই থাকা ভালো কিছু নয়। আপনি যেখান থেকেই আসেন না কেন, আই ডোন্ট কেয়ার। কিন্তু জাকের আলীর প্রতি যা হয়েছে, সেসবে আমি ক্ষুব্ধ। ভালো কিছু নয় এসব। তবে আপনাকে বলতে পারি, আমি চাই না আমার ক্রিকেটাররা সামাজিক মাধ্যমে কোনো ধরনের জবাব দেবে।”
মন্তব্য করুন: