ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাশরাফি-সাকিবদের পেছনে ফেললেন রিশাদ

২১ অক্টোবর ২০২৫

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাশরাফি-সাকিবদের পেছনে ফেললেন রিশাদ

স্পিন সহায়ক পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনারদের সামনে প্রায় পুরোটা সময় ধুঁকছিলেন ব্যাটাররা। একটা সময় মনে হচ্ছিল দুইশ রানের কাছাকাছিও যেতে পারবে না বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দুই ওভারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেই সমীকরণ বদলে দেন রিশাদ হোসেন। আর এই ঝড়ো ইনিংসেই মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৪ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। তার তাণ্ডবে ৭ উইকেটে ২১৩ রান তোলে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ের জন্য এই ম্যাচের পিচ কতটা কঠিন ছিল তা বোঝা যায় ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেটের দিকে তাকালেই। সৌম্য সরকারের মতো আগ্রাসী ব্যাটার ৪৫ রান করেন ৫০ দশমিক ৫৬ স্ট্রাইক রেটে। রিশাদের আগে নুরুল হাসান সোহান (৯৫.৮৩) ছাড়া কোনো ব্যাটারই ৭৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে পারেননি। শুধু তাই নয়, অ্যালিক অ্যাথানেজের মতো অনিয়মিত স্পিনার ১০ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

এমন প্রতিকূল পরিবেশে ঝড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশের হয়ে এক ওয়ানডেতে অন্তত ৩০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট এখন রিশাদের। এই ইনিংসে তার স্ট্রাইক রেট ২৭৮ দশমিক ৫৭।

এই তালিকায় আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে মাশরাফি ও সাকিবের। ২০০৬ সালে বগুড়ায় কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মাশরাফি। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৫। ইনিংসের শেষ বলে ডানহাতি এই ব্যাটারের ছক্কায় সেদিন প্রথমবার ওয়ানডেতে ৩০০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।

২০১৪ এশিয়া কাপে মিরপুরে ১৬ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব, স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৫।

এই রেকর্ডে তাদের পরে আছেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গায়ানায় ১১ বলে ৩০ রান করেছিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭২ দশমিক ৭২।

তালিকার পাঁচেও আছেন রিশাদ। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৬ দশমিক ৬৬।

মন্তব্য করুন: