সুপার ওভারে রিশাদকে না নামানোর সিদ্ধান্ত মিরাজ-সিমন্সের, অবাক ক্যারিবয়ানরা
২২ অক্টোবর ২০২৫

রিশাদ হোসেনের শেষ দুই ওভারের তাণ্ডবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সুপার ওভারে ম্যাচের সেরা স্ট্রাইকারকেই ব্যাটিংয়ে নামায়নি স্বাগতিকরা! দলের এই সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছে ক্যারিবিয়ানদেরও।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রিশাদের ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ২১৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে শেষ বলে ২ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে ক্যারিবিয়ানরা।
মুস্তাফিজুর রহমানের করা সুপার ওভারে ১০ রান তুলতে পারে সফরকারীরা। প্রতিপক্ষসহ অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন লক্ষ্য তাড়ায় রিশাদ ব্যাটিংয়ে নামবেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাইফ হাসান, সৌম্য সরকারকে নামানো হয়। সৌম্য আউট হলে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একটা সময় ৬ বলে দরকার ছিল ৭ রানের। অথচ সুপার ওভাবের ১ রানে হেরে যায় তারা।
স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক, কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সৌম্যর কাছে সুপার ওভারে রিশাদকে না পাঠানোর কারণ জানতে চাওয়া হলে বাঁহাতি এই ওপেনার জানান, এটা কোচ ফিল সিমন্স ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সিদ্ধান্ত।
“কোচ আর অধিনায়ক পরিকল্পনা করেছেন। এটা তাদের পরিকল্পনার একটা অংশ ছিল। উনারা চিন্তা করেছেন যে, মূল ব্যাটসম্যানদের পাঠাবেন এই সময়টাতে।”
সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল করেন আকিল হোসেইন। ম্যাচে বাঁহাতি এই স্পিনারের করা শেষ ওভারে ১৬ রান নিয়েছিলেন রিশাদ একাই। সুপার ওভারে সৌম্য আউট হওয়ার পর রিশাদকে না পাঠিয়ে শান্তকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টিম ম্যানেজমেন্ট। বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিশন ঠিক রাখতে এমনটা করা হতে পারে বলে মনে করেন সৌম্য।
“বাঁহাতি স্পিনার বোলার বল করছিল, তো অবশ্যই একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যাওয়াটাই ছিল ভালো অপশন।”
অন্যদিকে সুপার ওভারে রিশাদকে না দেখে সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করে আকিল হোসেইন বলেন, “হ্যাঁ, আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। যে ছেলেটা ম্যাচে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিল, ১৪ বলে ৩৯ রান করল, সে সুপার ওভারে নামলই না! ছোট দিকের বাউন্ডারিতে যে দুটো ছক্কা মেরেছিল, সেখানেই তো আবার মারতে পারত। আমরা সবাই আসলে অবাক হয়েছিলাম।”
মন্তব্য করুন: