আবারও ব্যাটিং দৈন্যতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ

২৯ অক্টোবর ২০২৫

আবারও ব্যাটিং দৈন্যতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ

শেষ ১০ ওভারের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় সংগ্রহ গড়তে দেননি বোলাররা। কিন্তু আবারও হতাশ করেছেন ব্যাটাররা। একাধিক জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি তারা। মাঝের ও শেষের ওভারগুলোতে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ১৪ রানে হেরে এক ম্যাচ আগেই টি-টুয়েন্টি সিরিজে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

বুধবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।

লক্ষ্য তাড়ায় মোট চারটি জীবন পান ব্যাটাররা। ৪৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া সুবিধা করতে পারেননি আর কেউই। পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ৩৭ রান তুলতে পারে তারা। এর পরের ১০ ওভারে ব্যাটাররা তুলতে পারে কেবল ৭১ রান। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিল ৪২ রান। হাতে ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু ২৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

টানা চারটি টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ হার। অন্যদিকে সবশেষ ৯ টি-টুয়েন্টি সিরিজে এটি ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় সিরিজ জয়। সবশেষ গত জুনে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে সিরিজের একমাত্র ম্যাচটি জিতেছিল এই ফরম্যাটের দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম জীবন পান সাইফ হাসান। কিন্তু ডানহাতি এই ওপেনার তা কাজে লাগাতে পারেননি। ফেরেন ৫ রান করে। ক্রিজে এসে আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দিলেও তা ধরে রাখতে পারেননি লিটন। ব্যক্তিগত ২০ রানে জীবন পাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরেন ২৩ রান করে।

তাওহিদ হৃদয় জীবন পান ব্যক্তিগত ৬ রানে। কিন্তু তিনিও সেটি কাজে লাগাতে না পেরে ফেরেন ১৪ বলে ১২ রান করে। এরপর জাকের আলী ক্রিজে আসলে আরও কমে যায় রানের গতি। পঞ্চম উইকেটে তার ও তানজিদের ৩০ বলের জুটি থেকে আসে কেবল ৩২ রান।

ব্যক্তিগত ৪৫ রানে জীবন পাওয়া তানজিদের বিদায়ে এই জুটি থামে। এরপর ফিকে হয়ে আসে জয়ের আশাও। সেই ওভারেই ধুকতে ধুকতে ১৮ বলে ১৭ রান করা জাকেরকেও তুলে নেন ম্যাচসেরা রোমারিও শেফার্ড। পরের ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। এরপর আর সমীকরণ মেলাতে পারেননি লোয়ার-অর্ডাররা।

৩টি করে উইকেট নেন শেফার্ড ও আকিল হোসেইন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০৫ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পরের ২২ বলে ১২ রান দিয়ে তাদের ৫ উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন।

দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ব্র্যান্ডন কিংকে (১) তাসকিন তুলে নেওয়ার পর ঝড় তোলেন অ্যালিক অ্যাথানেজ ও শাই হোপ। তাদের আগ্রাসী পাওয়ারপ্লেতে দলের খাতায় যোগ হয় মোট ৫০ রান। ৩০ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন অ্যাথানেজ। দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৫২ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনারকে তুলে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি ভেঙে ধসের শুরুটা করেন নাসুম। পরের বলে শারফেইন রাদারফোর্ডকে বোল্ড করেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

পরের ওভারে ৩৬ বলে ৩টি চার ছক্কায় ৫৫ রান করা হোপকে তুলে নিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন মুস্তাফিজ। এক ওভার পর জোড়া আঘাতে রভম্যান পাওয়েল (৩) ও জেসন হোল্ডারকে (৪) তুলে নিলে সফরকারীদের বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা শেষ করে দেন রিশাদ।

শেষ দিকে রোস্টন চেইজ ও শেফার্ডের ব্যাটে দেড়শর কাছাকাছি যায় অতিথিরা। শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান দেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলে শেফার্ডকে (১৩) তুলে নেওয়ার পরের বলে ক্যারি পিয়ারকে বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পেসার। শেষ বলে রানআউট হন আকিল।

আগামী শুক্রবার একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: