আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ আশরাফুল
৪ নভেম্বর ২০২৫
প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক এই অধিনায়ককে। সেই সিরিজে টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক স্পিনার ও নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক।
সোমবার রাতে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন।
আশরাফুলকে কোচ করার পেছনের কারণ হিসেবে বিসিবি পরিচালক ও নারী বিভাগের প্রধান রাজ্জাক বলেন, “আশরাফুলের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। সে এরই মধ্যে কোচিং কোর্সও সম্পন্ন করেছে। মূলত তার অভিজ্ঞতাই আমাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।”
রাজ্জাক দাবি করলেও আদতে কোচ হিসেবে আশরাফুল তেমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নন। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথমবারের মতো বরিশাল বিভাগের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে বিপিএলে ছিলেন রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ।
টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়ে ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় আশরাফুলের। তাকে বিবেচনা করা হয় দেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার হিসেবে। কিন্তু তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় কালো অধ্যায় হলো স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানো। এ কারণে ২০১৪ সালে তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বিসিবি। পরে তা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়। সাজা কাটিয়ে পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসেবে নতুন অধ্যায় শুরু করেন আশরাফুল।
জাতীয় দলের সবশেষ ব্যাটিং কোচ ছিলেন ডেভিড হেম্প। তবে তার কাজে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাকে আবারও হাই পারফরম্যান্স দলে পাঠায় বিসিবি। এরপর থেকেই দলে ছিল না বিশেষজ্ঞ কোনো ব্যাটিং কোচ। বর্তমানে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনই দেখেন ব্যাটিং। কিন্তু দলের টানা ব্যাটিং ব্যর্থতায় তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সালাউদ্দিনের ব্যর্থতার কারণেই আশরাফুলকে ব্যাটিং কোচ করা হলো কি না – জানতে চাইলে রাজ্জাক বলেন, “এখানে কারও ব্যর্থতা বা কারও দায়িত্বে অন্য কাউকে আনা হয়নি। এমনকি কাউকে তার জায়গা থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়নি।”
অন্যদিকে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক গত সেপ্টেম্বরেও জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন। তবে বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে সে মাসের শেষ দিকে সেই দায়িত্ব ছাড়েন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। নির্বাচিত হওয়ার পর নারী বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। এবার তাকে দেওয়া হলো বাড়তি দায়িত্ব।
সবশেষ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টুয়েন্টি খেলতে আর কয়েকদিন পর দেশে আসবে আয়ারল্যান্ড। সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ১১ নভেম্বর। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে ১৯ নভেম্বর। টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ও ২৯ নভেম্বর। শেষ ম্যাচ ২ ডিসেম্বর, মিরপুরে।















মন্তব্য করুন: